দাকোপে ঘেরের ডোবা থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

প্রকাশঃ ২০২০-০২-০৪ - ১৮:০২

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ : খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী এলাকায় নিজ মৎস্য ঘেরের ডোবা থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যাকান্ড হতে পারে এমন দাবী স্বজনদের। তবে পুলিশ বলছে ময়না তদন্ত ছাড়া মৃত্যু রহস্য স্পষ্ট বলা যাবেনা।
মৃত্যের পরিবার জানায়, উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের আমিন উদ্দিন গাজীর পুত্র আঃ জলিল গাজী (৭০) প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার ভোর রাতে বাড়ী হতে পানখালী দাতনেমারী বিলে নারকেলতলা খাল সংলগ্ন নিজের মৎস্য ঘেরে যায়। দিন শেষে সন্ধ্যার পর তার বাড়ী ফেরার কথা। প্রতিদিন এভাবে ভোরবেলা আসে আর সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরে যায়। কিন্তু সোমবার রাতে বাড়ী না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা সাম্ভব্য সব জায়গায় খুজতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য ইদ্রিস শিকদার এবং মৃত্যের পুত্র আমান গাজী তাকে খুজতে ঘের এলাকায় আসে। তারা ঘেরের রাস্তার উপর ভাত ছড়ানো, ডোবার পাশে স্যান্ডেল ভাতের পাত্র ছড়ানো ছিটানো দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় তারা ডোবায় নেমে ঘাষের তলে জলিল গাজীর লাশ খুজে পায়। তাদের সংবাদে অন্যান্য স্বজন এলাকাবাসী এবং দাকোপ থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। থানার ওসি তদন্ত দেবাশীষ দাস, এস আই পলাশ দাসের উপস্থিতিতে ডোবা থেকে লাশ তোলা হয়। লাশের শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে এক চোখ ও গাল দিয়ে রক্ত বেয়ে পড়তে দেখা যায়। এ ছাড়া কানের লতিতে সামান্য ক্ষতের চিহ্ন অনুভুত হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে দীর্ঘ সময় লাশ পানির নীচে থাকায় হাত পা শক্ত হয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মৃত্যু ব্যক্তির স্যান্ডেলসহ সেখানে পাওয়া অতিরিক্ত আরেক জোড়া স্যান্ডেল, ভাতের পাত্র, প্লাষ্টিকের একটা বালতি এবং একটি ব্যাগ জব্দ করে। প্রাথমিকভাবে তারা মৃত্যুটি রহস্যবৃত্ত বলে ধারনা করছে। মৃত্যু জলিল গাজীর ব্যবহ্নত দু’খানা স্যান্ডেল ঘেরের রাস্তার দু’পাশে পাওয়া এবং অন্যান্য আলমতে তার স্বজনসহ উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হতে পারে বলে ধারনা করছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরসহ লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমনটা জানিয়েছে দাকোপ থানা পুলিশ। মৃত্যু জলিল গাজীর দু’স্ত্রী ৪ ছেলে এবং ২ মেয়ে আছে। জানা গেছে জমিজমা নিয়ে তার কিছু বিরোধ ছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল।