দাকোপে সামাজিক বনায়নের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয়ের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-২৮ - ১৬:৪৫

গোলাম মোস্তফা খান, দাকোপ : দাকোপের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩২ ও ৩৩ নং পোল্ডারে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাঁধ ও গেটের কাজ শেষ হতে না হতেই তড়িঘড়ি করে বাঁধে কোটি কোটি টাকার সামাজিক বনায়নের কাজ ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে চলছে বলে খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ড,স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার অধিকাংশ জনগনের অভিযোগ।
প্রাকৃতিক সম্পদ গবেষনামূলক প্রতিষ্ঠান (এনজিও) সি,এন,আর,এস অফিস সূএে জানা যায় দাকোপের ৩২ ও ৩৩ নং পোল্ডারে প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তায় মোট ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ফলজ ও বণজ গাছের চারা লাগানোর কথা এজন্য ৭ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ আছে।জানা গেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ড,এনজিও সিএনআরএস ও সামাজিক বনায়ন বিভাগ মান সম্মত গাছের চারা লাগানো ও রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও কাজের কাজ তেমন কিছুই হচ্ছেনা বলে অভিযোগের শেষ নেই।এ বিষয় ৩২ নং পোল্ডারাধীন কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল জানান,গাছ লাগানো বাবদ কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও আদৌ সিডিউল মোতাবেক খরচ করা হচ্ছে না,রাস্তায় লম্বা সারির লাঠি দেখা গেলেও চারা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না,কারন এমনিতেই নিম্মমানের ছোট চারা তারউপর রোপনেও ফাঁকিবাজি এ কারনে এপ্রকল্পটিতে কোটি কোটি টাকা অপচয় হবে, বাস্তবে তেমন কোন কাজে আসবে না।৩৩ নং পোল্ডারের বানিশান্তা ইউ,পি চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় জানান,ওয়াপদার রাস্তায় লেবু,পেয়ারা,আম,জাম গাছের চারা লাগানো হচ্ছে যা নিন্মমানের ছোট চারা বলে জেনেছি,একাজ সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়নি।একই পোল্ডারের দাকোপ ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায় জানান,কাজে অনিয়ম চলছে জেনে আমার এলাকায় কাজ করতে দেয়নি এবং উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় বিস্তারিত উত্থাপন করেছি।জনপ্রতিনিধিরা জানান,মূল অনিয়ম করছে সামাজিক বনায়ন কতৃপক্ষআর ৩২ নং পোল্ডারেই অনিয়ম বেশি।একই অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের ও জড়িত এনজিও কর্মকর্তাদেরও।পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৩ নং এর উপসহকারি প্রকৌশলী এমডি আনোয়ার হোসেন জানান,তড়িঘড়ি করে আমাদের বাঁধে চারা রোপন করা হচ্ছে যে চারা খুবই নিন্মমানের বলা যায় কারন মাপের তুলনায় চারা অনেক ছোট,শ্রমিক দিয়ে দিনে অধিক পরিমানে চারা লাগানোর কারনে রোপনও সঠিকভাবে হচ্ছে না,তারপর রোপনের পর যে কাঠি পুতে বাাঁধা হচ্ছে তাও সিডিউল বহি:ভূত খুব সরু সব মিলিয়ে অনিয়মের শেষ নেই।৩৩ নং পোল্ডারের দায়িত্বে নিয়োজিত সামাজিক বন বিভাগের সোয়েবুর রহমান জানান আমি কাজের মান ভাল করতে স্লো করছি এবং সিডিউল মোতাবেক করছি,আমার এখানে অনিয়ম নেই।৩২ নং পোল্ডারের দায়িত্বে বন বিভাগ খুলনা রেনজের শহিদুর রহমান বলেন টেনডারের মাধ্যমে অনেক চারা নেওয়া হয়েছে এ জন্য চারা ছোট হতে পারে বলে আর কোন তথ্য না দিয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বলেন।দাকোপ উপজেলা বন ও পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির প্রধান ও নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াদুদ প্রকল্পটিতে ব্যাপক অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন এতবড় অনিয়ম কিছুতেই মানা সম্ভব না তাই আমি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্ময় কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছি।