নীতিবাচকের মাঝে ইতিবাচক ওরা হতে পারে অনুকরনীয়

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-০৯ - ১৬:২৬

আজগর হোসেন ছাব্বির : করোনার মত ভয়াবহ দূর্যোগ মোকাবেলায় স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অসংখ্য নীতিবাচক খবরের মাঝে দাকোপে ওরা হতে পারে ইতিবাচক খবরের শিরোনাম। অনুকরনীয় এমন কাজের সম্মিলিত প্রয়াস দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সাহসী করে তুলবে এমন মন্তব্য সচেতন মহলের।
করোনা ইস্যুতে টিভি বা অন লাইন নিউজ মিডিয়ায় চোখ রাখলে যতটা না ইতিবাচক খবর চোখে পড়ে তার চেয়ে অধীক হারে ভাইরাল হচ্ছে নীতি বাচক অসংখ্য খবর। নিজেদের জীবন বাঁচাতে ঘরে থাকতে মানুষের অনীহায় প্রশাসনকে বাধ্য হয়ে কঠোর হতে হচ্ছে। এর মাঝে এক শ্রেনীর মানুষ ত্রান সহায়তার নামে জন সমাবেশ ঘটিয়ে ছবি তুলে নিজেদের জাহির করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এত সব নীতিবাচক খবরের মাঝে দাকোপে নাম প্রকাশ এমন কি ছবি প্রকাশে কঠোর আপত্তি অতি সাধারণ এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে ৭৭০ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরন করলেন খাদ্য সামগ্রী। লোক দিয়ে বাড়ী বাড়ী পৌছে দিয়ে নিজে থাকলেন আড়ালে। উপজেলার কাটাবুনিয়া মৌখালী গ্রামে ২০০ পরিবার, খাটাইলে ১০০ পরিবার, খলিষাতে ২০০ পরিবার এবং চালনা আছাভূয়া লঞ্চঘাট এলাকায় অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে ২৫০ পরিবারে ত্রান হিসাবে পরিবার প্রতি ৫ কেজি চাল ২ কেজি আলু পৌছে দিলেন। পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী যখন কঠোর হয়ে মানুষকে ঘরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নিয়ে দাকোপের সুতারখালী ও কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের কিছু উদ্যোমি যুবক মানুষকে ঘরে রাখতে নিজেরাই নিজেদেরকে লক ডাউন ঘোষনা করলেন। সেটা বাস্তবায়নে সেখানকার রাস্তাঘাটে যান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করতে দিয়েছেন বাসের ঘেরা। তাদের এমন কাজে কিছু সমালোচনা ও হচ্ছে। কিন্তু উদ্যোগী ওই যুবকরা বলছেন করোনার ভয়াল আক্রান্ত থেকে বাঁচতে সরকার স্বাভাবিক সকল কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেছেন যে উদ্দেশ্যে আমাদের উদ্যোগটি তেমনই একটি অংশ। নিজেদের নিরাপদ রাখতে কিছু সাময়িক প্রতিবন্ধতা আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে রোগী পরিবহন এবং জরুরী সেবার যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে বলে তারা জানায়। করোনার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ার পর দেশে সকল সরকারী বেসরকারী হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি বড় অংশ যখন নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কর্তব্য পালনে অনীহা প্রকাশ করে দুরে সরে গেছেন। সংবাদের শিরোনাম হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরনের খবর। তখন দাকোপ উপজেলা হাসপাতালের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম অব্যহত আছে। অথচ অপ্রতুল নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মাঝে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা হাসপাতালের ডাক্তাররা গর্ভবতী মায়ের সিজার অপারেশনসহ সকল স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। সচেতন মহল বলছেন কেবল সমালোচনার মাঝে কোন সমাধান পাওয়া বা সেবা আদায় করা যায়না। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যারা ত্যাগের নিদর্শন স্থাপন করছেন তাঁদের ভাল কাজের স্বীকৃতি দেওয়া মানে বাড়বে ওই সকল কর্মবীরদের মনোবল, তাদের দেখে অন্যরা হবে উৎসাহী ৷