পাইকগাছায় মসজিদে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-২৬ - ১৯:৩১

স্নেহেন্দু বিকাশ, পাইকগাছা : পাইকগাছায় মসজিদে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, এদের মধ্যে মোমিন সানার মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। পুর্বশত্রুতার জের ধরে শুক্রবার জুম্মার নামাযেব পুর্ব মুহুর্তে লস্কর ইউপির খড়িয়া খালধারের সানাবাড়ী মসজিদে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করেছেন। পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান হাসপাতালে আহতদের খোজ-খবর নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,চিংড়ী ঘেরের বাধ-বাধ-বন্ধির টাকা লেন-দেন ও সানাবাড়ী মসজিদের বাউন্ডারী প্রাচীর নির্মান সহ হিসাব-নিকাশ নিয়ে উপজেলার খড়িয়া খালধার গ্রামের সানাবাড়ীর উজির সানা ও নজরুল সানা গংদের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার নামাযের পুর্বে মসজিদে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের ৬ জন কমবেশি আহত হন। আহতরা হল মোমিন সানা,কামাল সানা( লাভলু),নজরুল সানা,হান্নান সানা,ময়নুল সানা ও সাগর সানা। এদের মধ্যে মোমিন সানার মাথা ফেটে মারাত্মক জখম হলে খুলনায় পাঠানো হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেস্কে চিকিৎসাধীন আহত মোমিন অভিযোগ করেণ, প্রতিপক্ষ নজরুল-ময়নুল সানা গংরা মসজিদেই আমার জামার কলার ধরে রড দিয়ে মাথায় বাড়ী মেরে জখম করে। অপরদিকে স্বাস্থ্যকমপ্লেস্কে ভর্তি লাভলু পাল্টা অভিযোগ করেণ, নামাযের পুর্বেই মসজিদে প্রবেশ করলে প্রতিপক্ষ হান্নান-রিপন গংরা লাঠি-লাঠি দিয়ে মারপিট করে আমাদের পিটিয়ে আহত করে। এদিকে ঘটনার পর পরই থানা পুলিশের এসআই অখিল রায়,অনিশ মন্ডল ও লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন হাসপাতালে পৌছে আহতদের চিকিৎসার খোজ-খবর নিয়ে দুপক্ষেকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। রিপোট লেখা পর্যন্ত মোমিনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্ততি চলছিল।