প্রধানমন্ত্রী  ৪৭টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ৫২টি নতুন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-২৭ - ২১:০০

খুলনা : গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় শুভাগমন এবং জনসভা সফল করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা মহানগর ও জেলা ১৪ দল। প্রধানমন্ত্রী ৩ মার্চ’১৮ খুলনায় প্রায় ৪৭টি সম্পন্ন প্রকল্প কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন এবং একইসাথে প্রায় ৫২টি নতুন প্রকল্প কাজের ফলক উন্মোচন করবেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি এ কথা জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এত ধ্বংস যজ্ঞের পরেও বর্তমান সরকারের গত এক বছরে জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার পেছনের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ৭ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও রেকর্ড পরিমান বেড়ে গিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে সরকার ব্যাপক উন্নতি অর্জন করেছে। দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায় গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন আর্থিক সহযোগিতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কৃষিখাতে বর্তমান সরকার স্বয়ং সম্পূর্ণ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পৌছে গিয়েছে। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। এটা শুধু একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ সরকারের দ্বারাই সম্ভব।

শেখ হাসিনার সরকার অবহেলিত দক্ষিণ-পশ্চিম জনপদের উন্নয়নে পদ্মা সেতু, আধুনিক রেলষ্টেশন নির্মান, শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল আরো আধুনিকায়ন, খুলনা-মংলা রেল লাইন নির্মান, মংলা বন্দর আধুনিকায়ন, নদীর নাব্যতার লক্ষ্যে মাষ্টার ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ চলছে। ইপিজেড-এ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে আরো আধুনিকায়ন করা, খুলনার সকল বন্ধ জুট মিল চালু করণ, খুলনায় গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। খুলনা মহানগরীসহ পার্শ্ববর্তী জেলা উপজেলায় স্কুল, কলেজ সরকারী করা হয়েছে। আরো স্কুল, কলেজ সরকারীকরণ করা হবে।

দৌলতপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ অচিরেই সম্পন্ন হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, কেডিএকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমী নির্মান। খুলনায় পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র অতি শীঘ্রই চালু করা হবে। তিনি খুলনার সকল স্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এ সকল উন্নয়ন সরকার  যাতে না করতে পারে সেজন্যে জামায়াত-বিএনপি দেশে নৈরাজ্য করার চেষ্টা করবে। ইতিপূর্বে তারা হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও নৈরাজ্যের যে তান্ডব চালিয়ে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত যাতে আর কোন অরাজকতা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সে দিকে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর জাসদ সভাপতি রফিকুল হক খোকন, জাসদ কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন, জাতীয় পার্টি জেপি কেন্দ্রিয় নেতা শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় নেতা অধ্যক্ষ ডা. এম এম আলম সিদ্দিকী, জেলা ন্যাপের সভাপতি এ্যাড. ফজলুর রহমান, সাম্যবাদি দলের সম্পাদক এফ এম ইকবাল, ওর্য়াকার্স পার্টির নেতা মফিদুল ইসলাম, ফারুকুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সোলেমান হাওলাদার, জাসদের আরিফুজ্জামান মন্টু, মহৎ শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. ফারুক আহমেদ কামরুজ্জামান জামাল, মকবুল হোসেন মিন্টু, শ্যামল সিংহ রায়, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, হাফেজ মো. শামীম, এ্যাড. শাহ আলম, মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ মোশাররফ হোসেন, আলী আজগর মিন্টু, আলমগীর সরদার, মো. শাজাহান জোয়াদ্দার, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, শফিকুর রহমান পলাশ, জামিল খান, ইঞ্জি. শামীম, মিজানুর রহমান জিয়া, মাসুমুর রশীদ, সোহেল বিশ্বাস, মামনুরা জাকির খুকুমনি। নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে বলেন, খুলনা প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স করার জন্য আপনাদের সাথে আমরাও প্রস্তাব দিবো।