বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমিদাতার জমি দখল নেয়ার পায়তারা

প্রকাশঃ ২০১৯-০৮-২৭ - ২০:৩৭

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমিদাতা রমাকান্ত মল্লিকের ক্রয়কৃত জমি দখল করে নেয়ার পায়তারা করছে একটি চিহ্নিত ভূমিদুস্য চক্র। উক্ত চক্রের প্রধান হোতা দাঁনিয়াফাঁদ গ্রামের অনন্ত মন্ডলের পুত্র দীনবন্ধু মন্ডল। সে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সরকারি সম্পত্তি ও ব্যাক্তিগত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রে প্রকাশ উপজেলার বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের (জলমা তহশীল) ভূমি দাতা রমাকান্ত মল্লিক গত ৩০ ডিসেম্বর ৩৬৪৪/১৯৫৪ নং কবলা দলিল মূলে ছয়ঘরিয়া মৌজার সি,এস ২০৫/১ খতিয়ানে খরিদাকৃত মালিক গোবিন্দ রায় ও ধীরেন্দনাথ রায়ের কাছ থেকে ৫০ শতক জমি ক্রয় করে কর খাজনা পরিশোধ পূর্বক ভোগদখলে থাকিয়া চাষাবাদ করে ফসলাধী উৎপাদন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে এবং এস,এ জরিপ কার্যক্রম চলা কালে এস,এ ৩৬২ নং খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক হন। উক্ত এস,এ রেকর্ডীয় মালিক রমাকান্ত মল্লিক গত ২ মে ২০১৬ তারিখে ২০১৩/১৬ নং দানপত্র দলিল করে দেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক। যার চেনা স্বাক্ষী থাকেন তৎকালিন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তুষার কুমার পাল ও বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের (জলমা তহশিলদার )ভূমি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। ভূমি দাতা রমাকান্ত তার ক্রয়কৃত বাকী সম্পত্তি সংলগ্ন ভরাটি ইনেদা খাল ভোগ দখল করে আসছে। উল্লেখ্য ভরাটি ইনেদা খালে কিছু অংশ জলাম তহশীল অফিস ভোগ দখল করে আছে। উক্ত রমাকান্ত মল্লিকের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি ও দখলে থাকা সরকারি ইনেদা খালের সম্পত্তি ভূমিদস্যু দিনবন্ধু জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। বিগত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মহিউদ্দিন সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে
ভূমিদস্যু দীনবন্দু মন্ডলকে ভ্রাম্যম্যান আদালত পরিচালন করে এক মাসের বিনাশ্রম জেল প্রদান করেন। শেখ মহিউদ্দিন পদন্নতি নিয়ে অন্যত্র বদলী হলে এবং জেল বের হইয়ে উক্ত ভূমিদুস্য দীনবন্দু মন্ডল পুনঃরায় রমাকান্ত মল্লিকের দখলীয় ইনেদার ভরাটি খাল যাহার খতিয়ান-১,দাগ ২৫২৮,২৩১৯,২৫০৮ দাগে ০.৫০ একর জমি ও আমার নিজ সম্পত্তি আবার দখলের পায়তারা করছে। বিষয়টি ভূমিদাতা রমাকান্ত মল্লিক বর্তমান সহকারি কমিশনার (ভূমি) দেলোয়ার হোসেনকে অবগত করনে। ভূমি কর্মকর্তা জলমা তহশীলদার কাজী রেজাউল ইসলামকে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ করেন। জলমা তহশীলদার উক্ত ভূমিদুস্য দীনবন্দু মন্ডলকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে খাল থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত সরকারি নিদের্শ উপেক্ষা করে দিনবন্ধু তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ভূমিদাতা রমাকান্ত মল্লিক উক্ত খাল একসনা বা স্থায়ী বন্দোবস্ত পেতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক সহ প্রধান মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।