বটিয়াঘাটা কলেজ রোডে ভারী যান চলাচলে রাস্তায় ফাটল!

প্রকাশঃ ২০১৮-০৯-১৭ - ১৮:২১

প্রশাসন নিরব : জনমনে ক্ষোভ

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : খুলনা-দাকোপ সড়কের বটিয়াঘাটা বাসস্টান্ডের পাশে একটি কালভার্ট মেরামতে বিলম্ব হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাসস্টান্ড থেকে শুরু করে শ্লিন্দামারী পর্যন্ত রাস্তার সর্বন্ত্রই এখন ফেটে গেছে। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে তারই উপর দিয়ে চলছে যাত্রিবাহী বাস, হ্যাবিওয়েট ট্রাক, জি-গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী ট্রাক, ভারী রোলারসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। ছোট সরু এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে কিভাবে এ পথে অবৈধ ভাবে ভারী যানবাহন চলছে সাধরণের বোধগম্য নয়। এ রাস্তার পাশেই রয়েছে বটিয়াঘাটা মহাবিদ্যালয়, পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল সরকারী প্রাথমিক, বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্ডেন স্কুলসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেষার মানুষের আবাস স্থল। রাতে দিনে নির্বিঘেœ এ সরু রাস্তা দিয়ে দাপিয়ে চলে এ সব ভারী যানবাহন। যে কোন মুহুর্তে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এ সড়কে একটি ট্রাক প্রবেশ করলে অন্যটি মুখোমুখি বের হবার কোন উপায় নেই। তার পরও বিভিন্ন কৌশলে চলাচল করছে। ভারীযান চলাচলের কারণে এ রাস্তায় ইজিবাইক, মটরভ্যান, নসিমুনসহ অন্যান্য থ্রি-হুইলার গাড়ী যাত্রী নিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। স্থানীয়রা জানায়, আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে রাস্তাটি ভেঙ্গে সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে থানা মোড়, কবর খানার সামনে, ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, ডাক বাংলোর সামনে, শ্লিন্দামারী মোড়, স্কুল, কলেজের সামনের রাস্তার পাশ ধসে পড়েছে। ভারী ট্রাক তার মধ্যে পড়ে কখনও কখনও রাস্তা ব্লক করে ফেলে। আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে সমস্ত রাত বিকট শব্দে নির্জনতা বিদীর্ণ করে ভারী যান চলাচল করলেও যেন দেখার কেউ নেই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন মন্ডল বলেন, এ ব্যপারে আমি কমেন্ট করতে চাই না। কারণ কি ভাবে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে গভীর রাতে ভারী যান বাহন এ পথে চলে সবাই কম বেশী বোঝে। অনেক দিন চৌকিদার দেয়া হয়েছে। কিন্ত তাদের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। আমার ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তাটি এ ভাবে ধসে যাবে এটা আমার কাম্য নয়। তবে আমার কিছুই করার নেই। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, কিসমত ফুলতলা গ্রামের মাঝে রাস্তার উপর কালভার্টটি ভেঙ্গে যাবার পর আমি নিজেই পরিদর্শন করি। ঠিকাদার জানায় একটি বেইলী ব্রিজ দিয়ে কালভার্ট করে দেয়া হবে। উপজেলা পরিষদ এবং প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় এ পথে কোন ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। সিদ্ধান্তটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়। তার পরও এ ভাবে ভারী যানবাহন চলাচল খুবই দু:খ জনক। বটিয়াঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দিনের বেলা ভারী যান চলাচল করতে দেয়া হয় না। রাতের আাঁধারে হয়ত দু’একটা চুরি করে যেতে পারে। উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান বলেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলে রাস্তার দু’মাথায় পুলিশ বসান হয়েছে। তার পরও গভীর রাতে পাথর ভর্তী ভারী যান ১০/১২টি একই সাথে চলাচল করায় সমস্ত রাস্তাই ভেঙ্গে ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে কঠোর অবস্থানে যাওয়া হবে।