রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় ৫ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-৩০ - ০১:৪৩

রাবি প্রতিনিধিঃ আধিপত্য বিস্তারের জেড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে এবং সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের এ ঘটনা ঘটে।

এতে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে রাবি ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

আটকৃতরা হলেন, রাবি ছাত্রলীগের কর্মী সাকিব আহমেদ, শহীদ হাসান, ফয়সাল আহমেদ, শাহাদাৎ ও নিতাই।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এই দ্বন্দ্বের জের ধরে সভাপতির অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী শাহাদাৎ এবং নিতাইয়ের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ফেরদৌস মাহমুদ শ্রাবণের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্রাবণ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবিরুল জামিল সুস্ময় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান মিশুকে ডেকে এনে নিতাইকে মারধর করে। জানতে পেরে সভাপতির অনুসারীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রাবণকে মারধর করে। এনিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

এর জের ধরে সোমবার দুপুরে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী সাকিবকে মারধর করা হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে জড়ো হয়। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক টানা তিন ঘণ্টা আলোচনার পর বিষয়টি মীমাংসা করে নেন। এ সময় হলের বাইরে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেয়। পরে হল থেকে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘সভাপতি ও আমার মধ্যে কোনে গ্রুপিং নেই। কয়েক কর্মী নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং করে মারামারি করেছে। এ ঘটনায় আমি ও সভাপতি ওই পাঁচ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এরপর নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং করলে আরো কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’

রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি ওই হলে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে নিজেদের মধ্যে এই ধরনের মারধরের ঘটনা আর ঘটবে না।’

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ক্যাম্পাসে মারামারির ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাঁচ কর্মীকে পুলিশে তুলে দিয়েছে। তারা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ অভিযোগ না করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানান ওসি।