রামপালে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারপিটের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-১৩ - ২০:০৮

সুব্র ঢালী, রামপাল (বাগেরহাট) : রামপাল উপজেলার গোবিন্দপুর আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামসুন নাহার ইরানী নামের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল উপজেলার গোবিন্দপুর আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সামসুন নাহার ইরানী ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ের ক্লাশ নিচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীরা ক্লাশে পড়া না পারার কারনে জিয়াল গাছের কচা দিয়ে সবাইকে বেধড়ক মারপিট করেন। এতে শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ বেশ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষী কার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জারজিস আহম্মেদ প্রাথমিক তদন্ত করে এর সত্যতা পান। ঘটনার বিষয়ে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় ওই স্কুলে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অত্র স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা নিলুফার ইয়াছমিন ও সামসুন নাহার ইরানী স্কুলে ঢুকতে বাঁধা প্রদান করেন। কেন তিনি এমন আচারণ করছেন জানতে চাইলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের গালমন্দ করেন এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাশের বাইরে বের করে দিয়ে ক্লাশের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হাওলাদার আবুল কালামের উপস্থিতিতে ওই দুই শিক্ষিকা এমন আচারণ করেন। সভাপতি আবুল কালাম আক্ষেপ করে বলেন, স্কুলের কোন বিষয়ে শিক্ষিকারা আমার সাথে সমন্বয় করেন না এবং কোন বিষয়ে জানান না। অভিযোগের বিষয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা মারপিটের ঘটনাটি স্বীকার করে বলে, সামসুন নাহার আপা ও নিলুফার আপা আমাদের সাথে সব সময় খারাপ ব্যবহার করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকা সামসুন নাহার ইরানী শিক্ষার্থীদের মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করেন। শিক্ষার্থীদের মারপিটের ঘটনার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে বলে শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জারজিস আহম্মেদ নিশ্চিত করেন। এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার সার্থে ওই দুই শিক্ষিকার বিষয় তদন্তসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।