মোংলায় ঘূণিঝড় আম্পান ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : ত্রাণ বিতরণ শুরু 

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-২২ - ০০:২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘূণিঝড় আম্পান ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে । তান্ডব আতঙ্কে নিঘূম রাত কাটছে উপক‚লবাসীর। প্রায় সারা রাত ধরেই চালায় এই তান্ডব । এর ফলে ভেঙ্গে গেছে অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি । ভেসে গেছে  চিংড়ি ঘেরের মাছ । জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে  নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । ঝড়ের কবলে পড়ে ঘোরি নামের একটি লাইটারের জাহাজ ডুবে চরে আটকে তলা ফেটে যায়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপস্থি ছিলেন মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান,মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র মোঃ জুলফিকার আলী, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামান, কাউন্সিলর তালুকদার আঃ কাদের প্রমুখ । এদিকে আবহাওয়া অফিস ১০ নম্বার বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে ।
মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ত্রাণ বিতরন শুরু হযেছে । যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন ১৫ শ পরিবারের মাঝে তাৎক্ষনিক ভাবে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে । এসময় তিনি দাবি করেন,এই ঝড়ে ১২৫টি ঘর সম্পুর্নভাবে বিধস্থ হযেছে ৫২৫টি ঘর আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । ১৫শ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । মংলাতে কোন প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেনি এবং কেউ আহত হয়নি । কানাইনগর এলাকায় একটি ভেড়ি বাধ আংশিক ভেঙ্গে ভিতরে পানি প্রবেশ করেছে । বহু মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে ঘেছে । তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের কাজ চলছে । ২/১ দিনের মধ্যে পুরোপুরি জানা যাবে ।
বুধবার রাতে মংলার ১০৬টি সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়া ৮ হাজারের অধিক লোককে নিজ হাতে রান্না করে খাবার বিতরন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার । খাবার বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত মান্নান, উপজেলা ভাইস চেযারম্যান মোঃ ইকবার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামান প্রমুখ ।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফকর উদ্দিন জানিয়েছেন ,মংলা বন্দরে অবস্থানরত ১১টি বানিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, স্টিভিডরসগন তাদের সুবিধা মতো সময় পণ্য খালাস কাজে শ্রমিক পাঠানো জন্য অনুমতি দেওয়া হযেছে । রাতের পালাতে পণ্য ওঠা-নামার কাজ শুরু হতে পারে ।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. কামরুল ইসলাম জানান, বাগেরহাট জেলায় প্রায় ২ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার কারনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি । বাগেরহাট  জেলার জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা , গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া  হয়েছে।
অপরদিকে ,পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী এলাকার  বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাগেরহাট জেলার সবকটি উপজেলায় প্রায় ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের  সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু জানায়,ঝরের কবলে পড়ে ডুব চরে আটকে যায়  লাইটারের জাহাজ এমভি ঘোরি ।পরে জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে । তবে কোন ক্ষযক্ষতি হযনি ।