অনিরাপদ পরিবেশে ভয়কে জয় করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সুন্দরবনের রক্ষীরা (ভিডিও)

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-০২ - ১৮:২৩

দাকোপ প্রতিনিধিঃ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখা সুন্দরবন প্রতিটি প্রাকৃতিক দূর্যোগে উপকুলিয় অঞ্চলের মানুষকে মায়ের মত আগলে রাখে। এই বনে আছে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ সম্পদ, নানা জাতের মৎস্য সম্পদ। এই সম্পদের বংশ বিস্তারে সরকার বনের বিভিন্ন অংশকে অভয় অরোন্য ঘোষনা করেছে। দেশের উপকুলিয় অঞ্চলের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে এই বনের উপর নির্ভরশীল। এই সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বনরক্ষিরা নানা কারনে আজ অনেক বেশী অনিরাপদ। প্রতিটি মুহুর্তে তারা নানা প্রতিকুলতার মাঝে জীবনের ঝুকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নেই নিরাপদ আবাসস্থল, সুপেয় পানির

https://youtu.be/-NoxmQuwTuA

ব্যবস্থা, জীবন যাত্রার আধুনিকতার সকল ছোয়া থেকে তারা বঞ্চিত। বনের অঘোষিত রাজা দস্যুদের মোকাবেলায় নেই আধুনিক সরঞ্জাম, নৌ যোগাযোগে নেই অত্যাধুনিক জলযান। বনরক্ষিদের অধিকাংশ অফিস অনিরাপদ বনের অভ্যান্তরে। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের অধীন নলিয়ান রেঞ্জের আওতায় রেঞ্জ কার্যালয়, ষ্টেশন ও টহল ফাঁড়ী মিলিয়ে আছে ছোট বড় ২৪ টি অফিস। দাকোপের নলিয়ানে বৃহৎ শিপসা নদীর তীরবর্তী অবস্থিত নলিয়ান রেঞ্জ কার্যালয় ও ষ্টেশন অফিসটি নদী ভাঙনের কারনে একাধীকবার স্থানান্তরিত হয়েছে। বর্তমানের রেঞ্জ অফিসটি ৫.৪৮ একর সম্পত্তির উপর ৮ টি ভবনের অফিসটি ১৯৮৭/৮৮ সালে নির্মিত হয়। শিপসার অব্যহত ভাঙনে অফিসটি এখন শতভাগ হুমকির মুখে। নদী তীরে বেড়ী বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি উপচে পড়ছে অফিস চত্বরে। সেখানে থাকা রেঞ্জ এবং ষ্টেশন কার্যালয় মিলিয়ে ২২ জন কর্মকর্তা বর্মচারীর নির্ঘুম রাত কাটছে ভাঙন আতংকে। সর্বশেষ আঘাত হানা সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে অফিস বাউন্ডারীর দক্ষিন পাশের বাধ ভেঙে পুরো অফিস চত্বর প্লাবিত হয়। এখন পর্যন্ত সেটি সংস্কারের কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় জোয়ার ভাটায় পানি উঠা নামা করতে দেখা যায়। এমন অনিরাপদ পরিবেশে দায়িত্ব পালন করছেন বনরক্ষিরা। নলিয়ান রেঞ্জ কার্যালয়টি স্থানান্তর করা বাস্তবতার নিরিখে এখন অত্যান্ত জরুরী। কিন্তু সে ধরনের কোন উদ্যোগ নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সুত্র গুলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নলিয়ান রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু সালেহ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। এ যেন বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বোবা কান্না। চোখে মুখে সর্বদা আতংক ভয়, কিন্তু রাষ্ট্রের বেধে দেওয়া বিধি বিধানের কারনে নীরবে সেই ভয়কে করতে হবে জয়।