এম শরীফ আহমেদ,ভোলা থেকেঃ
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবা জনগনের মাঝে দ্রুত পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতালে যুক্ত হলো নৌ এ্যম্বুলেন্স। মুমূর্ষ রোগীদের উন্নত সেবার ব্যাবস্থাসহ গর্ভবতী মহিলাদের দ্রুত জেলা সদরে স্থানান্তর ও উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে নৌ এ্যাম্বুলেন্স।
নৌ এ্যাম্বুলেন্সটি শুক্রবার সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে মনপুরার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। ঐ দিন শুক্রবার বিকাল ৫টায় মনপুরার হাজির হাট ঘাটে এসে পৌছেসে।এদিকে নৌ এ্যাম্বুলেন্স মনপুরা আসার খবর শুনা মাত্র শত শত লোক ঘাটে এসে এ্যম্বুলেন্সটি দেখার জন্য ভীড় করেন। সাধারন মানুষ তাকিয়ে আছেন এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ভোধনের অপেক্ষায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য প প কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদ বলেন,নৌ এ্যাম্বুলেন্স নির্মানে ব্যয় হয়েছে ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫শত টাকা। ধারন ক্ষমতা ১৫ থেকে ২০জন। গতিবেগ ঘন্টায় ৭ থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল। ঘন্টায় ৪লিটার ডিজেল ব্যয় হবে। উপজেলা সদর থেকে তজুমুদ্দিন ও চরফ্যাসন উপজেলায় আসতে সময় লাগবে ১ থেকে সোয়া ঘন্টা।
তিনি আরও বলেন,এটি আমার একার চেষ্ঠা নয়। স্থানীয় জনগনের আগ্রহ উদ্দীপনা ও পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এটি পেয়েছি। আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
নৌ এ্যম্বুলেন্সটি স্থানীয় লোকজন দ্বারা গঠিত একটি পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ওই কমিটি এর ভাড়া নির্ধারন করবেন। এ্যম্বুলেন্স উদ্ভোধনের তারিখ এখনও নির্ধারন করা হয়নি। উপমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে দ্রুত উদ্ভোধন করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি মিসেস শেলিনা আকতার চৌধুরী বলেন, গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চরাঞ্চল থেকে কিংবা জেলা শহরে (আনা নেওয়ার জন্য) উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে নৌ এ্যাম্বুল্যান্সটি স্বাস্থ্য সেবায় আরেক ধাপ এগিয়ে দিবে বলে তিনি মনে করেন।