ঢাকা অফিস : উপসর্গহীন রোগীরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
দেশে করোনায় আক্রান্ত অনেকের শরীরে কোনও লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। যারা উপসর্গহীন, তাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় মৃদু উপসর্গ কিংবা আক্রান্তের আশপাশের মানুষজনকেও করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
পরীক্ষার পরিমান যত বাড়ছে, করোনা রোগীর শনাক্তও তত বাড়ছে। পহেলা এপ্রিল ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জন শনাক্ত হয়েছিলো অর্থাৎ ৫২ জনে একজন। সেখানে ২৪ এপ্রিলের হিসাব বলছে ২৪ ঘন্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩৬৮৬ জনের আর করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫০৩ জন। অর্থাৎ প্রতি সাতজনে একজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।
করোনা আক্রান্তদের বেশীরভাগই তরুণ। যাদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে, ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আক্রান্তের হার তুলনামূলক কম। বিশ্বের অন্যন্য দেশের মত বাংলাদেশেও নারীর তুলনায় পুরুষ আক্রান্তের সংখ্যা বেশী। তবে, দিনদিন এই ভাইরাস তার রূপ পরিবর্তন করছে।
প্রথম দিকে শুধুমাত্র হাঁচি, কাঁশি, জ্বর, গলাব্যাথা ও ডায়রিয়া উপসর্গ থাকলে করোনা পরিক্ষা করা হলেও বর্তমানে মৃদু উপসর্গেও করোনা পজেটিভ হচ্ছেন অনেকে। এরমধ্যে আবার অনেকের রক্ত জমাট বাধার ঘটনাও ঘটছে। আবার শরীরে কোন লক্ষণ নেই এমন অনেকেরও পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েছে। এতে করে উপসর্গহীন রোগীদের কাছ থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার বেশী। তাহলে দেশে কি করোনাভাইরাস তার রূপ বদলাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিনগত কারনে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তাই আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রেই লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না।
এ অবস্থায় উপসর্গহীন রোগীদের কাছ থেকে অধিক সংক্রমন ঠেকাতে লকডাউন ও কোয়ারেন্টিন কঠোর ভাবে মেনে চলার পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার পরিমান আরো বাড়াতে হবে বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।