খুলনা : খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক চন্দ্র তম মৃত্যুবার্ষিকী পলন উপলক্ষে সোমবার নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সাংবাদিক স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন, আলোচনা ও স্মরণ সভা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন।
সকাল পৌঁনে ১১টায় খুলনা প্রেস কাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে), খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, রতন সেন পাবলিক লাইব্রেরী, মানিক সাহার পরিবার, উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে খুলনা প্রেস কাব চত্বরের শহীদ সাংবাদিক স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করা হয়। পরে খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে মানিক সাহার স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু। বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী মোতাহার রহমান ও মিজানুর রহমান মিলটন, কার্যনির্বাহী সদদ্য সোহরাব হোসেন, হাসান আহমেদ মোল্লা, কৌশিক দে, এস এম হাবিব ও মোহাম্মদ আলী সনি।
এছাড়াও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা করেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু ও শেখ আবু হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসেন ও মোঃ সাহেব আলী, সাবেক সদস্য সচিব মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সদস্য গৌরাঙ্গ নন্দী, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মো. শাহ আলম, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, রকিব উদ্দিন পান্নু, এইচ এম আলাউদ্দিন, আব্দুল মালেক, শেখ আব্দুল্লাহ ও সুনীল কুমার দাস এবং প্রয়াত সাংবাদিক মানিক সাহার ভাই প্রদীপ সাহা প্রমুখ।
এদিকে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম। সভায় প্রেস ক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি খুলনা জেলা শাখা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিকাল ৪টায় সমাবেশ করে, শোভাযাত্রা সহকারে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ছাত্র ইউনিয়নের খুলনা জেলা সংসদ সন্ধ্যায় স্মৃতিতম্ভে সহস্র মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে এবং প্রেস ক্লাবস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেস কাবের অদূরে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় মানিক সাহা নিহত হন। পরিবারের প থেকে মামলা না করায় ১৭ জানুয়ারি খুলনা থানার সাব ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। বিস্ফোরক দ্রব্য অংশের মামলায় আসামিরা খালাস পায়। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর এ মামলার হত্যা অংশের রায়ে ৯ আসামীর যাবজ্জীবন সাজা হয়।