ঢাকা অফিস : রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে, তাদের আটক করা হয়। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
গেল শনিবার সকালে, রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন দুই সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম রেনু। এরপরে, রবিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে লক্ষ্মীপুরে রায়পুরের সোনাপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাসলিমা বেগমকে দাফন করা হয়।
তাসলিমার মরদেহ তার বাবার বাড়িতে নেয়া হলে হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময়, তার মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দার পাশাপাশি, মিথ্যা অপবাদে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছে নিহতের পরিবার।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহাখলীর ওয়্যারলেস গেটে সন্তান নিয়ে থাকতেন তসলিমা বেগম রেনু। তসলিমা তার সন্তানকে নিয়ে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বছরের মাঝপথে সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গেলে অনেকের সন্দেহ হয়। সন্দেহ থেকেই তাকে নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে নিয়ে যান অভিভাবকরা।
তখন সেখান থেকে ‘ছেলেধরা’ এক মহিলা ধরা পড়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে তাকে গণপিটুনি দেয়। পরে, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তাকে বাঁচাতে পারেনি।