জামাই-শাশুড়ির বিয়ে!

প্রকাশঃ ২০১৯-১০-২৭ - ১৫:৪৫

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে শাশুড়িকে জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনায় হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাদের তালুকদারসহ ১১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার, আদালতে শাশুড়ি মাজেদা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক শামছুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে গোপালপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা বিবরণে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের কড়িআটা গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও তার মেয়ের জামাতাকে মারধর করে জোরপূর্বক স্বামীর সঙ্গে তালাক দিয়ে মেয়ের জামাতার সঙ্গে কাজী ডেকে বিয়ে দেয়া হয়। হাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান কাদের তালুদকার ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম সেই সালিশি বৈঠকে বিচার করে শাশুড়ির সঙ্গে জামাতার বিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের ‍নুরু মিয়ার মেয়ে নূরন্নাহারের সঙ্গে চলতি বছরের ৯ই আগস্ট এক লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে দেয়া হয়  উপজেলার হাজরাবাড়ীর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোনছের আলীর সাথে। বিয়ের কিছুদিন সংসার জীবন ভাল কাটলেও কয়েকদিন পরই দেখা দেয় দাম্পত্যকলহ।

বিয়ের প্রায় দেড় মাস পরে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান নুরুন্নাহারের মা।  প্রায় এক সপ্তাহ পরে গত ৮ অক্টোবর স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে কড়িয়াটা গ্রামে আসেন মোনছের আলী।  বাড়ি ফিরে নুরুন্নাহার মোনছের আলীর সংসার আর করবে না বলে জানায়।  এরপর এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অন্যান্য ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসীদের নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে।

সালিশ বৈঠকের মাঝে এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে নুরুন্নাহারের মা মাজেদা বেগম মেয়েকে বলেন, “তুই সংসার না করলে আমি করব।“ এই সময় শাশুড়ি ও জামাতার মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রচুর মারধর করা হয়।  এরপর নুরুন্নাহারকে তালাক দিতে মোনছের আলীকে  এবং তার শাশুড়িকে তালাক দিতে শ্বশুরকে বাধ্য করা হয়।  একই বৈঠকে মোনছের আলী ও তার শাশুড়ির বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেন কাজী গোলাম মওলা জিনহা।