ডুমুরিয়ায় যুবলীগ নেতার নের্তৃত্বে হামলায় পুজা মন্ডপের সভাপতিসহ আহত ৩

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-১৭ - ২২:৫০

আ: লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া(খুলনা) : ডুমুরিয়ার পল্লীতে পুজা মন্ডপের মাঠে বাডমিন্টন খেলা করতে নিষেধ করার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবলীগ নেতার নের্ত্বতে পুজা মন্ডপের সভাপতিসহ ৩ জন মারপিটের শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে উপজেলার সাজিয়াড়া গ্রামে। আহতদের ডুমুরিয়া উপজেলা স্বা¯হ্য কমপ্লেক্সে। আহত ভুক্তিভোগি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে গত শনিবার বার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাজিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ¯হানীয় পুজা মন্ডপের সভাপতি প্রভাষ বর্ধন(৫৪) ডুমুরিয়া বাজারের তার দোকানে দায়ীত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সাজিয়াড়া মোড় সংলগ্ন পুজা মন্ডপের সামনের খোলা জায়গায় ¯হানীয় কয়েকজন যুবককে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখে তাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন ‘আমি পুজা মন্ডপের সভাপতি, আমার কাছে না শুনে তোমরা কেন এখানে খেলার কোট কেটেছো’? এ কথা বলার সাথে সাথে উপজেলা যুবলীগের প্রভাবশালী সদস্য ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতা অভিজিৎ কুন্ডু টুটুলের (৪০) নেতৃত্বে তার সহযোগি এলাকার চির›িজৎ কুন্ডু(৪০),সাধন কুন্ডু(৪৫)সহ আরো ৭/৮ জন যুবক প্রভাষ বর্ধনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চাইনিজ কুড়াল,লোহার রড,লাঠি সহ দেশীয় বিভিন্নন অস্ত্র- স্বস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে বাড়ি থেকে কাকা আশোক বর্ধন(৪৫)ও ছেলে হ্রদয় বর্ধন(২২) ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও বেদম পারপিট করে আহত করে। পরে ¯হানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বা¯হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই ঘটনা ¯হল পরিদর্শন ও হাসপাতালে আহতদের খোজ খবর নেন। এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আহত চিকিৎসাধীন প্রভাষ বাবুর মাথায় কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তার বাম পাজরের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার আশংঙ্খা করছি। এছাড়া পা সহ শরীরের বিভিন্ন ¯হানে ফুলা জখম রয়েছে। উনার উন্নত চিকিৎসার জন্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত অশোক ও হ্রদয় বাবুর অব¯হা মোটামুটি ভাল। উনারা আশংঙ্খা মুক্ত। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে অভিজিৎ কুন্ডু টুলল বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। আমার কাকাতে ভাইদের সাথে তার গ্যা›জাম শুরু হলে প্রভাষ বাবু আমাকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। মারামারির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি এর সাথে স¤পৃক্ত ছিলেন না বলে দাবী করেন। জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন জানান,খবর পেয়ে তিনি রাতেই ঘটনা¯হল ও হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে ছিলেন। এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।