আজগর হোসেন ছাব্বিরঃ পৃথিবীর অভিন্ন শত্রু করোনার প্রভাবে অসহায় হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাড়াতে দাকোপে গড়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন “পাশে থাকতে চাই”। শুরুটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে করে সহায়তার ব্যাপ্তি বাড়াতে অতি সাধারন পরিবারের সন্তান রনি উদ্যোক্তা হিসেবে তুলেছেন এই সংগঠন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো বিশ্ব যখন আতংকিত। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যখন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কর্মহীন অসহায় হয়ে পড়ে তখন চালনা পৌরসভার অতি সাধারন পরিবারের সন্তান রনি তাদের পাশে দাড়ানোর সংকল্প নিয়ে এগিয়ে আসে। শুরুতেই ব্যক্তিগত উদ্যাগে গত এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ থেকে শতাধীক পরিবারে সাবানসহ কিছু স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরন করে। এরপর চালনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবার গুলোর পাশে দাড়াই খাদ্য সামগ্রী দিয়ে। কিন্তু ব্যক্তিগত উদ্যোগে তার সীমিত সামার্থ্যে অনেক কিছু করা সম্ভবনা এমন ধারনা থেকে ভিন্ন স্বপ্ন নিয়ে জনপ্রিয় স্যোশাল মিডিয়া ফেইজবুককে প্লাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করে অসহায়দের পাশে দাড়াতে গড়ে তোলে একটি বিশেষ সংগঠন “পাশে থাকতে চাই”। এ ব্যাপারে সংগঠনের উদ্যোক্তা রনি জানায়, রাজনীতির বাইরে নিজেদের জায়গা থেকে কিছু করার আগ্রহ নিয়ে সংগঠন ছাড়াই কয়েকজন যুবককে নিয়ে প্রথমে বিভিন্ন জায়গায় অর্থ সংগ্রহ ও জনসচেতনতা মুলক কাজে অংশ গ্রহন করি। কিন্তু তাতে প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায় হতাশ না হয়ে ভিন্ন চিন্তা নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করি। তারই আলোকে ফেইজবুক ব্যবহার করে গড়ে তুলি “পাশে থাকতে চাই” নামের এই মানবিক সংগঠন। এরপর পুরোদমে চলছে অর্থ সংগ্রহ ও সাহায্যের কাজ। অনেকেই উৎসাহিত হয়ে রাজনীতির বাইরে এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমরা গ্রুপে বিভিন্নভাবে মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। এবং আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে যারা সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন আমরা তাদের অনুমতিক্রমে নাম ও সাহায্যের বিবরন গ্রুপে নিয়মিত শেয়ার করে প্রাপ্ত অর্থের হিসাব নিয়মিত তুলে ধরছি। আগামী ১৫ মে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও চিকিৎসা সামগ্রী অসহায় পরিবারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে পৌছে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন ফটোসেশন নয়, আমরা পাশে থাকতে চাই। মানবিক এই উদ্যোগে অংশ গ্রহন ইচ্ছুকদের তারা বিকাশ নাম্বার ০১৯২১৫০১১৮৮, রকেট ০১৯২১৫০১১৮৮৭, ডিবিবিএল ১৪৭১০৩২৯৮৬৩৪ সহযোগীতার অনুরোধ জানিয়েছেন।