ধংসের পথে রেল কর্মকর্তাদের অফিস ও বাংলো

প্রকাশঃ ২০১৮-০৩-১৭ - ১৬:৫৯

সোহেল রানা,হিলি (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় হিলির রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অফিস ও আবাসিক ভবনগুলো দীর্ঘ দিন যাবৎ সংস্কার এবং দেখা শুনার অভাবে আজ প্রায় ধ্বংসের পথে। এসব জরাজীর্ন ভবন গুলো এখন দখলে আছে মাদকসেবীদের, অসামাজিক কাজের লোকদের আর নানান অপরাধীদের। ভবন গুলোতে অসংখ্য ফাটল ধরায় রেলের কর্মচারির পরিবর্তে এখানে বসবাস করছে এখন পোকা মাকড়। এ ভবনের পাশ দিয়ে এলাকার লোকজন চলাফেরা ও ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে। যে কোন সময় ভবন ধ্বসে ঘটতে পারে মারাত্মক প্রাণহানির মত দূর্ঘটনা। ভনবটি দেখার কেউ না থাকায় দিনের পর দিন এর মূল্যবান জিনিস-পত্র, ইট, পাথর পড়ে থাকায় সেগুলো যেমন হচ্ছে নষ্ট এবং রাতের অন্ধকারে হচ্ছে চুরি। সচেতন মহল মনে করেন এখনই এসব ভবন ভেঁঙ্গে ফেলা দরকার অথবা নিলামে মাধ্যমে দেওয়া দরকার। রেলওয়ে থেকে অবসর প্রাপ্ত সাবেক রেলমিস্ত্রী জয়নাল আবেদীন বলেন ১৯৬০ সালে আমি হিলি রেল স্টেশনে চাকুরীতে যোগদান করি। রেলের বৃটিশ কর্তা বাবুরা আজকের এ জীর্ন ঘর গুলোতে থাকত ও অফিস করত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে কেউ আর থাকেনা এবং যত্নও নেই না।

পাক-ভারত যখন বৃটিশরা শাসন করত এলাকার জনসাধারনের যাতায়াতের জন্য হিলি রেল স্টেশনটি ছিল একমাত্র অবলম্বন। স্টেশনের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য নির্মান করা হয়েছিল অফিসসহ আবাসিক ভবন। দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকায় বৃটিশদের নিপুন হাতের তৈরী ভবনে অসংখ্য ফাটল ধরেছে, রোদ বৃষ্টির পানিতে কাঠের তৈরী দড়জা-জানালা গুলোও নষ্ট হয়েছে। ভবনের চার পাশের জনসাধারন এর পাশ দিয়ে আতংকে চলাফেরা করলেও মাদক সেবী ও অসামাজিক কাজের লোকদের অত্যাচারের মধ্যেই বসবাস করছে। বৃটিশ আমলের এ ভবনটি শুধুই এখন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা বলছেন এখনই ভবনটি নিলাম দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা দরকার।