ফুলতলায় গ্রাহকদের ২ কোটি টাকা নিয়ে সিসিটিআই সমিতির পরিচালক হাসান চৌধুরী উধাওঃ নারী ফিল্ড অফিসাররা বিপাকে

প্রকাশঃ ২০১৯-০৪-২৩ - ২০:৫৫

তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা): খুলনার ফুলতলায় সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ এহসান উদ্দিন চৌধুরী ওরফে হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমিতির ১৪ জন নারী ফিল্ড অফিসার তাদের নিজস্ব পাওনা ও গ্রাহকদের আমানত ফেরত পাওয়ার দাবিতে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফুলতলায় সিসিটিআই সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড (রেজিঃ নং-১৭ কে,২৩/০৭/২০১২) ফুলতলা বাজারস্থ রফিক সড়কস্থ হুমায়ুন গাজীর বিল্ডিং এ দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে সমিতির কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতে মোঃ এহসান উদ্দিন চৌধুরী ওরফে হাসান চৌধুরী বাপ্পী সভাপতি, তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে সহসভাপতি, আল ইমরান খান সম্পাদক এবং মোঃ আইনাল হক, মোঃ হাদিউজ্জামান জমাদ্দার (হাসান চৌধুরীর মামা) ও মোঃ আশরাফুল ইসলামকে সদস্য করে সমিতির রেজিষ্টেশন (স্মারক নং-১৪০৭(২)) নেয়া হয়। সেই থেকে অতিরিক্তি সুদ প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে, ফুলতলা, নওয়াপাড়া, জামিরা, নাউলী, ধুলগ্রাম, রাজঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অফিস স্থাপন ও নারী কর্মী নিয়োগ দিয়ে ১ হাজার ৬শ সদস্য’র নিকট থেকে সঞ্জয় গ্রহণ করে। শুধুমাত্র ফুলতলা এলাকাতেই ১৪ নারী কর্মীর মাধ্যমে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা আদায় পূর্বক অফিস ভাইচারের মাধ্যমে গ্রহণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে ৬ থেকে ৮ বছর মেয়াদি ফিক্সট ডিপোজিট, এফডিআর, সঞ্জয় আমানত, মাসিক ও দৈনিক সঞ্জয় গহণ করা হয়। এদিকে আমানতের মেয়াদ শেষ পূর্তির মুহুর্তেই অর্থাৎ গত ৩ এপ্রিল অফিসের তালা বন্ধ করে আমানতকারীদের টাকা প্রদান না করেই হাসান চৌধুরী আত্মগোপন করে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগে করা হয়।
অপরদিকে সমিতির ১৪ ফিল্ড অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা খন্দকার জহিরুল ইসলাম আগামী ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় সমিতি কার্যালয়ে বাদি ও বিবাদির পক্ষকে উপস্থিত থাকতে লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেন। এদিকে সমবায় অফিস কৃর্তক ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের অডিট নোটে দেখা যায়, ৮০ জন শেয়ার সদস্যের মাধ্যমে ৩৭ হাজার টাকা জমাকৃত আমানত ২ লাখ ৩২ হাজার ৭শ ঋণ পাওনা, ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫শ ৫৬ টাকাসহ মোট পূজি রয়েছে ৩ লাখ ৬১ হাজার ১শ’ ৭৮ টাকা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগি গ্রাহকেরা তাদের আমানত ফেরত পেতে সমিতির বন্ধকৃত অফিস, থানা প্রশাসন, বণিক কল্যাণ সোসাইটি, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তর ও ব্যক্তির দুয়ারে দুয়ারে ধর্ণা দিচ্ছে।