বটিয়াঘাটায় আম্পানের তান্ডবে বিভন্ন এলাকা লন্ডভন্ড

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-২১ - ২২:৪৫

বটিয়াঘাটা অফিস : ঘূর্নিঝড় আম্পানের তান্ডবে বটিয়াঘাটা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বুধবার সকাল থেকেই থেমে থেমে দমকা ঝড়ো হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা হতে না হতে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এরপর শুরু হয় প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া। ঝড়ো হাওয়ায় উপজেলা সদরের বাজার ভেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী কালীমন্দির নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া অসংখ্য দোকানঘর নদীতে নিমজ্জিত হয়।অন্যদিকে উপজেলার বরণপাড়া গোপালখালী এলাকায় দেড় কিলোমিটার ভেঁড়িবাঁধ পিচের রাস্তাও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়ে স্হানীয় বাসিন্দা সুনীল চক্রবর্তীর বাড়ি নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এখানেও বিশ/পঁচিশটি দোকান বসতি ও ঘরবাড়ি সহ মুরগীর ফার্ফ ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। দুই একদিনের মধ্যে এখানে স্হায়ীভাবে বড় ধরনের কোন প্রোটেকশন বাঁধ নির্মাণ না করলে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।অন্যদিকে উপজেলার বারোআড়িয়া, সুরখালী,বারোভুঁইয়া,শিয়ালীডাঙ্গা, কোঁদলা এলাকার অধিকাংশ স্হানের ভেঁড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়াও ঘূর্নিঝড়ে কৃষকের তরমুজ, তিল, রবিশস্য ক্ষেতের হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল বিনষ্ট হয়। অনেক স্হানে বসতবাড়ি ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে পড়ে। খবর পেয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি,বিভাগীয় কমিশনার ড.মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)সরোয়ার আহম্মেদ সালেহীন, পাউবোর -২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জী, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাশেদুজ্জামান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ এমদাদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন মন্ডল সহ সাংবাদিক,জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্হ অসহায় মানুষের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ বিতরন করেন।

এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম সন্ধ্যায় বরণপাড়া গোপালখালী এলাকায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া খোলা আকাশের নীচে বসবাসকারী অসহায় পরববারের মাঝে খাদ্য উপকরন পৌঁছে দেন।