ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা : সারাদেশের ন্যায় বটিয়াঘাটায় মাছের বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে ২০মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার । সেজন্য এ আপদ কালীন সময়ে জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ ৫৬ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা প্রদান করে । উক্ত খাদ্য সহায়তা প্রদানে এ উপজেলায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী কার্ডধারী খাদ্য সহায়তা বঞ্চিত একাধিক জেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৩৫১৭ জন । জলমায় ৪৫৯ জন,সদরে ৬৩৩ জন, গঙ্গারামপুর ৫৮৭ জন, সুরখালী ৬৮৮ জন , ভান্ডারকোট ৪০৪ জন , বালিয়াডাঙ্গায় ৪৫৮ জন ও আমীরপুরে ইউনিয়নে ২৮৮ জন । এরমধ্যে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ২৯৬০ জন । উক্ত কার্ডধারী জেলেদের বাদ দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য,ট্যাগ অফিসার ও মৎস্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে জেলে নয় এমন লোকদের চালের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে । যে কারনে প্রকৃত কার্ডধারী পূর্বে সহায়তা পেত, কিন্তু বর্তমানে সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে । এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী কার্ডধারী অভিযোগ দায়ের করা কার্ডধারী প্রকৃত জেলে সদর ইউনিয়নের ৯ নং অয়ার্ডের বাসিন্দা সুখেন হালদার ও দেবপ্রসাদ মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানান, ট্যাগ অফিসার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কমলেশ বালা, ইউপি সদস্য কিশোর বিশ্বাস ও সুব্রত হালদার মিলে আমাদের কাছে ৫ শত টাকা দাবী করে । আমরা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাদের নাম অন্য পেশা দেখিয়ে বাদ দিয়ে দেয় । আমরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি । এ ব্যাপারে উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কমলেশ বালার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা । এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল মামুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ উপজেলায় মোট ৩৫১৭ জন নিবন্ধিত জেলেকে বিশেষ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে । অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে । ইউনিয়ন কমিটি সরেজমিনে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে ।