বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুকদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে (দক্ষিণ পাশে) কেয়ার থেকে বুনোরাবাদ অভিমুখের রাস্তায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট ইটের সলিং বসাতে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও নির্বাক কর্তৃপক্ষ। ফলে, এ সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার কাজে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিম্নমানের ও নাম্বারবিহীন। এতে ব্যবহৃত বালুর মধ্যেও রয়েছে বেশিরভাগ মাটি। স্থানীয়রা এসব দিয়ে রাস্তার কাজ করতে নিষেধ করলেও, ঠিকাদারের শ্রমিকরা তা শুনছেন না।
বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত রাস্তাটির মান ভালো না হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দফতর (পিআইও) থেকে এ প্রকল্প নেওয়া করা হয়েছে। ৫০০ মিটার রাস্তাটি পাকাকরণের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকাদার তারেক আজিজ। অভিযোগ আছে, রাস্তাটি নির্মাণকাজের শুরু থেকেই অনিয়ম চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট ও বালু।
সুখদাড়া গ্রামের দিলীপ মিস্ত্রী বলেন, রাস্তাটি যে ইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে, তা কোনো নাম্বারের মধ্যেই পড়ে না। শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট-বালি দিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন ঠিকাদার।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের বটিয়াঘাটা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, নিম্নমানের ইট ও বালি দিয়ে রাস্তা তৈরি করার কাজ ৭-৮ দিন আগে শুরু হয়েছে। ইটের বুনন ফাঁকা ফাঁকা। রাস্তায় এক নাম্বার ইট বসানোর কথা থাকলেও, দেওয়া হচ্ছে নাম্বারবিহীন ইট। পিওর বালির পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মাটিযুক্ত বালি। যে পরিমাণ বালি দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। এভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হলে, তা বেশিদিন টিকবে না।
এ বিষয় জানতে ঠিকাদার তারেক আজিজের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শেখ আব্দুল কাদের শুক্রবার (২১ জুন) সকালে বলেন, রাস্তার কাজের মান খুব খারাপ বলে, আমি তা বন্ধ করে দিতে বলেছি। ১০০ থেকে ২০০ ফুট যে কাজ হয়েছে, তা উঠিয়ে ফেলতে বলেছি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) কাজ বন্ধের জন্য ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়েছিলাম। শুনলাম, আজও নাকি কাজ করছে। আমি নিজে যাচ্ছি কাজ বন্ধ করতে।