গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে বর্তমানে ভোগান্তির আরেক নাম চাপাইল ব্রীজ। সম্প্রতি ব্রীজের পশ্চিম প্রান্তে লেগুনা মালিক ড্রাইভার ও অটোরিক্সা মালিক ড্রাইভারদের মধ্যে মারামারি সংগঠিত হয়। এর আগে প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক অনেক দিন যাবত চাপাইল ব্রীজের ওপারের কোন অটোরিক্সা কে গোপালগঞ্জ শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নী। সে পরিপ্রেক্ষিতে ওপারের অটোরিক্সা ড্রাইভাররা কোন লেগুনা কেও ওপারে যেতে দেয় না। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনাটি বর্তমানে গোপালগঞ্জ ও নড়াইল দু’জেলার মধ্যে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ব্রীজের দুই প্রান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চাপাইল ব্রীজের উপর দিয়ে কোন লেগুনা ও অটোরিক্সা চলাচল করতে পারছে না।
বর্তমানে বয়স্ক মানুষ গুলির পায়ে হেটে ব্রীজ পার হওয়া চরম কষ্টের। এ নিয়ে জনগনের মধ্যে চরম ভোগান্তি ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। গোপালগঞ্জ ও নড়াইল এ দু’জেলার প্রশাসনের আশানুরুপ কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ার মত নয়। দু’জেলার লোকজন ব্রীজের দু’প্রান্তে লাঠিসোটা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। যে কোন সময় অনেক বড় ধরনের সংঘর্ষের কারনে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। দু’জেলার পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতি ও হস্তক্ষেপের কারনে আপাতত চাপাইল ব্রীজের দুইপার কোন প্রকার দাঙ্গা বিহীন অবস্থায় আছে। পুলিশ প্রশাসন সরে গেলেই বড় ধরনের মারামারি ঘটনা ঘটতে পারে বলে মতামত প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। এ অবস্থায় জনগনের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
এলাকার আর্থ সামজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি মানব সম্পদ উন্নয়ন ও জাতীয় অর্থনীতিতে এ ব্রীজ ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মান প্রকল্পের আওতায় ৫৭ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গোপালগঞ্জ এলজিইডি শহরের উপকন্ঠে মধুমতি নদীর উপর ৫৮৮.৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৬ মিটার প্রস্ত চাপাইল সেতু নির্মান করে। যা গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে উদ্ভোধন করেন।