আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : মোংলায় বাড়ী থেকে ধরে নৌ থানায় নিয়ে বেধে এক ব্যক্তিকে বেদম মারপিট করে পরবর্তীতে ১২ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চাদপাই নৌ থানার এএসআই মো: নুর আলমের বিরুদ্ধে। পুলিশের মারধরে গুরুতর আহত ওই ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়ীতে অবস্থান করলেও ফের পুলিশের হয়রানীর ভয়ে আতংকে রয়েছে পরিবারটি। তবে মারধর ও টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এএসআই নুর আলম।
জানা গেছে, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের গিলারখালকুল এলাকার আসাদুল খা (৩৫) ও ই¯্রাফিল মোল্লার মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় ৩ দিন আগে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আসাদুল মঙ্গলবার সকালে জয়মনির চাদপাই নৌ থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দিন সকালেই এএসআই নুর আলম সাদা পোশাকে গিয়ে বাড়ী থেকে ই¯্রাফিলকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ীতে থাকা ই¯্রাফিলের পিতা সাগর মোল্লা (৫২) তার ছেলেকে পিছন থেকে টেনে ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এতে ওই পুলিশ অফিসার ক্ষিপ্ত হয়ে সাগর মোল্লাকে থানায় নিয়ে হাত-পা বেধে বেদম মারপিট করেন। মারপিটে সাগরের পা ফেটে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শুকুর হাওলাদারের মধ্যস্ততায় ১২ হাজার উৎকোচ নিয়ে ওই পুলিশ অফিসার নুর আলম সাগরকে ছেড়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিুক কয়েকজন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, মঙ্গলবার সকালে সাদা পোশাকের কয়েকজন লোক বাড়ীতে এসে কোন কিছু না বলেই ই¯্রাফিলকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সাদা পোশাকধারীরা নিজেদের কোন পরিচয় দেয়নি, বলেওনি যে তারা থানা পুলিশের লোক। তাই সন্দেহবশত কে বা কারা ছেলে ই¯্রাফিলকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এজনই সাগর মোল্লা ছেলেকে ছাড়িয়ে রাখার জন্য পিছন থেকে টেনে ধরে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়েই তখন পুলিশ পরিচয় দিয়েই সাগর মোল্লাকে আটক করে থানায় নিয়ে বেধে বেদম মারধর করেছে। শুরুতেই পুলিশ পরিচয় দিলে তো আর এমন ঘটনা ঘটতো না বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে চাদপাই নৌ থানার এএসআই মো: নুর আলম বলেন, সাগর মোল্লাকে থানায় আনা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়া হয়নি। হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে আসার পর গাড়ী থেমে নামানোর সময় সাগর পায়ে একটু ব্যথা পেয়েছে বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে তিনি ও তার সাথের লোকজন সাদা পোশাকে ছিলেন বলে স্বীকার করেন।