যশোর: আবারো টেন্ডারবাজ সন্ত্রাসীদের বাধার কারণে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের ৫ গ্রুপ কাজের টেন্ডার সাধারণ ঠিকাদাররা জমা দিতে পারেননি। চিহ্নিত টেন্ডারবার সন্ত্রাসীদের বাধার কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা টেন্ডার জমা না দিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ছিল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের ৫ গ্রুপ কাজের টেন্ডার জমাদানের শেষ দিন ছিল। এর আগে ’১৭ সালের ১৩ অক্টোবর খাদ্র দ্রব্য সরবারহের ৫ গ্রুপ কাজের টেন্ডার আহবান করা হয়। কিন্তু নিদিষ্ট টেন্ডারবাজ ঠিকাদার সিন্ডিকেট দ্রব্যের দর বেশি দেয়ায় একাজের রিটেন্ডার করা হয়। কাজ গুলি হচ্ছে শাক,সবজি,মাছ,মাংস,মসলা,কাঠও পরিবহন সরবরাহের টেন্ডার।
সাধারণ ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, নিদিষ্ট ঠিকাদার ছাড়া এদিন বুধবার কেন্দ্রীয় কারাগারের টেন্ডার জমা দিতে গেলে জেলগেট থেকেই তাদেরকে চিহ্নিত টেন্ডারবাজ সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে ফিরিয়ে দেয়। অনেক ঠিকাদারকে টেলিফোনে হুমকি দেয়া হয় টেন্ডার জমা দিতে না আসার জন্য।
ঠিকাদারদের সূত্রে জানা যায়, যশোর কেন্দ্রীয় কারাকর্তৃপক্ষের অনুগত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কারিমা কনসাইনমেন্ট, সোলাইমান হোসেন, ও আসলাম এন্টার প্রাইজ এই তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের টেন্ডারে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে না। আর এই তিনটি প্রতিঠানকে সরাসরি সহযোগিতা করে জেল সুপার কামাল হোসেন, ও জেলর আবুতালেব। এর আগেও এই তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পোষ্য সন্ত্রাসীদের বাধার কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা টেন্ডার জমা দিতে পারেননি।
টেন্ডারের বিষয়ে জানতে জেল সুপার কামাল হোসেনের ০১৭৬৯৯৭০৬১০ নম্বর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন কত গ্রুপ কাজের টেন্ডার হচ্ছে আমি জানি না। আপনি উচ্চমান সহকারি আব্দুস সামাদের সাথে কথা বলেন। উচ্চমান সহকারি আব্দুস সামাদের ০১৭২১৪৯৮৬৫৪ নম্বর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন সুপার সাহেব আমাকে না বললে আমি তথ্য দিতে পারবো না। তথ্য নিতে জেলর আবু তালেবের ০১৭১১৩০১৩২৪ নম্বর মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। তথ্য প্রদানে কারাকর্তৃ পক্ষের অসহযোগিতার বিষয়টি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন টিপু সুলতানকে জানানো হলে তিনি বলেন, আমি খুলনায় কাজে এসেছি। আমি বিষয়টি খোজ নিচ্ছি।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতিবারই টেন্ডারবাজি হয়। আর এসংক্রান্ত তথ্য প্রতিবারই মিডিয়ার কাছে গোপন করা হয়। তথ্য অধিকার আইনে কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকার কথা বলা হলেও জেল সুপার কামাল হোসেন প্রতিবারই টেন্ডারের তথ্য গোপন করেন। এরপরও মিডিয়া বিভিন্ন সূত্রে তথ্য জোগাড় করে সংবাদ প্রকাশ করে। কিন্তু এরপরও উর্দ্ধতন কারাকর্তৃ পক্ষ টেন্ডারবাজি বন্ধে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সরকার মোটা অংকের টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।