রাবির অপহৃত ছাত্রীর শ্বশুর আটক

প্রকাশঃ ২০১৭-১১-১৮ - ১২:৫১

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের সামনে থেকে ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় অপহরণকারী ‘সাবেক স্বামীর’ বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

১৭ নভেম্বর শুক্রবার রাতে অপহরণকারীর বাবাকে আটক ও তার ছেলের অবস্থান পুলিশ জানতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা বাবা মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অপহরণের শিকার বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে শাহী আম্মানা শোভা। শোভা নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি এলাকার আমজাদ হোসেনের মেয়ে।
তার ‘সাবেক স্বামী’ আইনজীবী সোহেল রানা নওগাঁ জেলার পত্নীতলা সরদারপাড়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদিনের ছেলে। গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের বিয়ে হলেও দুই মাস আগে ডিভোর্স হয়ে যায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, ‘অপহরণকারীর বাবা আইনজীবী জয়নাল আবেদিনকে নাওগাঁর নজীপুর এলাকার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন আটক করেছে। এছাড়া অপহরণকারী সেহেল রানার বর্তমান অবস্থান আমরা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সে ঢাকাতে অবস্থান করছে।
পুলিশ তাকে ঢাকা থেকেই আটক করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।’
‘ছাত্রী যেহেতু পরীক্ষা দিতে পারেনি, তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে তকে পরবর্তীতে এককভাবে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’- বলেন প্রক্টর।
নওগাঁর পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে ওই ছেলের বাবা আইনজীবী জয়নাল আবেদিনকে আটক করা হয়েছে। তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন, মতিহার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে ছাত্রীর বাবা অপহরণকারী সোহেল রানাসহ কয়েকজনের নামে মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান।

মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, ‘মামলা হয়েছে। কিন্তু ক’জনকে আসামি করা হয়েছে সেটা এখনো বলা যাবে না। আটক ছেলের বাবাকে আনতে ১৮ নভেম্বর রোববার সকালে পত্নীতলা থানায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান।
এর আগে আবাসিক হলের ছাত্রীরা তাকে উদ্ধারের দাবী জানিয়ে টানা দুই ঘণ্টা রাবি উপচার্য বাসভবন ঘেরাও করে রাখে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
উম্মে শাহী আম্মানা শোভা তাপসী রাবেয়া আবাসিক হল থেকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বের হয়েছিলেন বাংলা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। হলের গেট থেকে ৫০ গজ এগোতেই তাকে জোর করে তার ‘সাবেক স্বামী’ একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।