রিফাত হত্যা মামলা: রিশান ফরাজী গ্রেপ্তার

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-১৮ - ১৭:৩৪

ঢাকা অফিস : বরগুনায় রিফাত শরীফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, কখন কোথায় থেকে রিশানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তদন্তের স্বার্থে জানানো হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফিরাজীর ছোট ভাই রিশান ফরাজী। রিফাত-রিশান দুই ভাই বরগুনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের দুলাল ফরাজীর ছেলে। এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে গেল ৩রা জুলাই গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন রিশান।

রিফাত ফরাজী এবং রিশান ফরাজী সরাসরি বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী এবং রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নির দেয়া বক্তব্য থেকে জানা যায়,রিফাতকে হত্যায় এই দুই সহোদর সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।

রিশানকে আজ আদালতে হাজির রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিসহ এখন পর্যন্ত ১৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১০ জন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলায় চারজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছেন।

আর এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

এদিকে, এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রিফাতের শরীফের স্ত্রী মিন্নির রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদনে কোনো আদেশ দেননি উচ্চ আদালত। তদন্তের এ পর্যায়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না বলেও জানিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে, আইনজীবী ফারুক হোসাইন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে এ আবেদন জানান। রিমান্ড শুনানির দিন মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকার বিষয়টিও আদালত তুলে ধরা হয়।

এর আগে, গতকাল বুধবার এই হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬শে জুন জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাতকে স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে, রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।