করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে বের হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। আজ শুক্রবার এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর ফলে, এখন থেকে আর কেউ সন্ধ্যা ৬টার বাইরে বের হতে পারবে না। বের হলেই কঠোর ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে, প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সাধারণ ছুটি ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বাড়ানো হলো সাধারণ ছুটি। তবে, বর্ধিত ছুটি অন্যান্য সাধারণ ছুটির মতো বিবেচিত হবে না। করোনার সংক্রমণ রোধে ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালীন নির্দেশনাবলি কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।
সাধারণ ছুটি চলাকালীন যেসব বিষয় মেনে চলতে বলা হয়েছে সেগুলো হলো:
- করোনার সংক্রমণ রোধে জনগণকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে।
- খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
- সন্ধ্যা ৬টার পর কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত থাকবে।
- বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।
ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি সেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহণ এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এই ছুটির মধ্যে পড়বে না। জরুরি প্রয়োজনে অফিসগুলো খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু রাখা যাবে। আর বিরাজমান পরিস্থিতি উন্নতি হলে মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
অন্যদিকে, সাপ্তাহিক ছুটি ও সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ ও ১৬ই এপ্রিল এবং ১৯ থেকে ২৩শে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে জারি করা প্রজ্ঞাপনে। এই সাধারণ ছুটির সঙ্গে ১৭ ও ১৮ই এপ্রিল এবং ২৪ ও ২৫শে এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে।