আবু হোসাইন সুমন, মোংলা: সুন্দরবনের নিষিদ্ধ খালে বিষ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকারে সহায়তা ও মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে জেলেদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে চাঁদপাই ষ্টেশন অফিসার মোঃ নুরুজ্জামানসহ ৪ বনরক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মেহেদীউজ্জামানের তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত প্রমাণিত হওয়ায় বন বিভাগের এ ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় বলে জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ মাহামুদুল হাসান।
পুর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা( ডি এফ ও) মোঃ মাহামুদুল হাসান জানান, সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের জোংড়া সংলগ্ন আন্ধারমানিক খালে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে জেলে নামধারী দুর্র্র্র্বৃত্তরা দীর্ঘদিন ধরে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিল বলে নিশ্চিত হওয়ার পর বিভাগীয় কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান বিষয়টির তদন্তের জন্য চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেদীজ্জামানকে দায়িত্ব দেন। এরপর রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেদীজ্জামান চাঁদপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামানকে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে খোজ খবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর প্রেক্ষিতে ষ্টেশন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান ঘটনার গত ৩১ অক্টোবর বোটম্যান মোঃ কাইয়ূম শেখ, মোঃ সাইফুল ও মোঃ আব্দুর রবকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আন্ধারমানিক এলাকায় যান। এবং ঘটনারস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বরুপ সেখানে গিয়ে তারা ৫টি জেলে নৌকাকে মাছ ধরা অবস্থায় দেখতে পান। নিষিদ্ধ খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় পেয়েও অপরাধী জেলেদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে নৌকা জালসহ তাদের ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন। তবে সে সময় তারা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দুইটি জাল জব্দ দেখিয়ে চাঁদপাই রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসলেও তাও পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফার উৎকোচের বিনিময়ে ঘটনার দু’দিন পরে ছেড়ে দেন। চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেদীজ্জামান এ ঘটনার তদন্ত শেষে ষ্টেশন কর্মকর্তা নুরুজ্জামানসহ ৪ বনরক্ষীকে দোষী সাব্যস্ত করে গত ৮ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান তাদের সাময়িক বরখাস্তসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।