অভয়নগরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষের আশংকা

প্রকাশঃ ২০২০-১২-১১ - ১৫:১২

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলার কাপাসহাটি গ্রামে একটি পরিবারে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়ায় এখন তা চরম পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে ওই পরিবারে। থানার অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কাপাসহাটি গ্রামের মৃত ইয়ার আলীর স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার অভয়নগর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। যার নং-৪। এজাহারসূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার দুপুরে কাপাসহাটি গ্রামের সোহেল খাঁর সহায়তায় মো. আক্কেল আলী খাঁ, জাহাঙ্গীর খাঁ, সাথী বেগম, হাসিনা বেগম, নার্গিস বেগম, আমেনা বেগম, ইমন খাঁ ও শাহিন আলম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাম দা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে ফিরোজা বেগমের বসতবাড়ির উঠানে গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় শাহিন আলমের হুকুমে সাথী বেগম ফিরোজা বেগমের চুল ধরে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। এসময় তার ছোট ছেলে সুমন এগিয়ে আসলে আক্কেল আলী খাঁ সুমনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে তাকে কোপ দেয়। এসে সে গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সুমনকে মারতে দেখে ফিরোজা বেগমের দেবর আলামিন, জা আসমা বেগম এবং সুমনের স্ত্রী ঝর্ণা ঠেকাইলে আসলে সাথী বেগম আসমা বেগমের কাপড় ছিড়ে ফেলে তাকে কামড়িয়ে জখম করে। এসময় অন্যান্য আসামিরা তার দেবর ও পুত্রবধূকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে জখম করে। মারামারির সময় সাথী বেগম ফিরোজা বেগমের গলায় থাকা একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ফিরোজা বেগম ও সুমনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, ফিরোজা বেগমের দাখিল করা এজাহারের ভিত্তিতে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। থানার এসআই ইসরাফিল আহমেদ শামীমকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।