ঢাকা অফিস : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে দুই সদস্যের দলীয় আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজ। নকিবুল হাসান নিলয়কে সহসভাপতি (ভিপি) ও মামুন ফকিরকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) করে এই প্যানেল গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মোড়ল জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্রসমাজ।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য ১৯৯০ সালে জাতীয় ছাত্রসমাজকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদ। সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর জাতীয় ছাত্রসমাজের নির্বাচনে অংশগ্রহণের খবরে ক্ষোভ জানায় ছাত্রলীগ ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো।
চলতি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেছিলেন, জাতীয় ছাত্রসমাজ সংগঠনগতভাবে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু তাঁদের কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে মঙ্গলবার রাতে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, জাতীয় ছাত্রসমাজ ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, সেটি দেখবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদ।
এ দিকে জাতীয় ছাত্রসমাজের প্যানেল ঘোষণার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছে ছাত্রলীগ ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আমরা জাতীয় ছাত্রসমাজকে প্রতিহত করার আহ্বান জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা ধর্মভিত্তিক সংগঠন ও সামরিক স্বৈরাচারের সহযোগীদের গঠনতান্ত্রিকভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেটি করা হয়নি। আশা করছি, ডাকসুর নির্বাচিত নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে আমরা গঠনতন্ত্রে এসব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সংযোজন করব।’
বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইকবাল কবীর বলেন, ‘প্রশাসনের মদদেই জাতীয় ছাত্রসমাজ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।’