এলএলবি পরীক্ষা কেন্দ্র খুলনায় স্থানান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-২৩ - ১৯:২১

যশোর অফিস:  হঠাৎ করেই এলএলবি পরীক্ষার কেন্দ্র যশোর থেকে খুলনায় স্থানান্তর করায় বিপাকে পড়েছেন তিন জেলার শিক্ষার্থীরা। তারা কেন্দ্র স্থানান্তর পুনঃবিবেচনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছেন।  যশোরে পরীক্ষা কেন্দ্র’র দাবিতে মঙ্গলবার বিকালে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যশোরের শহীদ মশিউর রহমান আইন মহাবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন জুলিয়া হোসেন মিষ্টি, শেখ মাহাবুব উর রহমান, ইব্রাহিম হোসেন, সুজন বিশ্বাস, লিপি খান, যাকিয়া সুলতানা, আয়নাল হোসেন প্রমূখ।

শিক্ষার্থীরা জানান, যশোর শহীদ মশিউর রহমান আইন মহাবিদ্যালয়, মাগুরা ও ঝিনাইদহ আইন মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার নেওয়া হতো যশোর কেন্দ্রে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ছিলো যশোর সরকারি এমএম কলেজ, যশোর বিএড কলেজ ও যশোর সরকারি সিটি কলেজ। কিন্তু এ বছর হঠাৎ করে পরীক্ষার কেন্দ্র খুলনাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

যশোর শহীদ মশিউর রহমান আইন মহাবিদ্যালয় আইনের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন ও সুজন বিশ্বাস জানান, ‘এলএলবি পরীক্ষা শেষ হতে এক মাসের বেশি সময় লেগে যায়। ফলে প্রতিদিন খুলনাতে যাতায়াত করে পরীক্ষায় অংশ নেয়া কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। আবার আবাসিক থেকে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ আরও বেশি ব্যয়বহুল। বিশেষ করে মহিলা শিক্ষার্থীদের যাতায়াত কিংবা আবাসিক থাকায় নিরাপত্তাজনিত প্রশ্নও রয়েছে।’

তারা আরও বলেন, ‘পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে ১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। যশোর থেকে খুলনায় যেতে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। রাস্তার অবস্থাও ভালো না। ফলে খুব সকালে পরীক্ষার জন্য রওনা দিতে হবে। তাছাড়া বাসে চলাচলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেজন্য বাসে করে খুলনায় গিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এলএলবি’র ফলাফলের উপর প্রভাব ফেলবে।’

শিক্ষার্থীরা মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এলএলবি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে ১৬ জানুয়ারি হঠাৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে কেন্দ্র স্থানান্তরের বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরীক্ষার কেন্দ্র স্থানান্তরের বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু নানা জটিলতায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ২১ জানুয়ারি ডাকযোগে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে শহীদ মশিউর রহমান আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা আরও স্বচ্ছতার সাথে নিতে খুলনা বিভাগের আইনের ৮টি কলেজের পরীক্ষা এবার খুলনাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।