করোনা উপসর্গ নিয়ে গাইবান্ধায় ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-১৯ - ১৭:২১

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরত আসা আজ ১৯ এপ্রিল রোববার সকালে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে নিজ বাড়িতে জ¦র, শ্বাসসকষ্ট, গলাব্যাথা সহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। অপরদিকে সদর উপজেলা গিদারী ইউনিয়নের এক কৃষক করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানান, মৃত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাঁদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িগুলো লক ডাউন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, একটি বিশেষায়িত টিম মৃত ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে লাশ দাফন করে।

এদিকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ সহ বড় বড় শহর থেকে আগত মানুষের ঢল থামাতে পারছেনা প্রশাসন। নৌপথ সহ বিভিন্নভাবে গাইবান্ধায় ফিরছে তাঁরা। বর্তমানে গাইবান্ধায় মোট ১ হাজার ৮৪৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হানিফ জানিয়েছেন ,গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় রোববার করোনা ভাইরাস সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন রোগী ১৮৮ জন বেড়ে এখন মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৪৯ জন। এছাড়া একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে দীর্ঘদিন অবস্থান করার পর সুস্থ হওয়ায় ৪ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন রয়েছে ১২ জন। তারা সবাই জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে রয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৮৪৯ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে সুন্দরগঞ্জে ৮৭, গোব্দিন্দগঞ্জে ২৮৫, সদরে ৩৪৪, ফুলছড়িতে ৩৬৮, সাঘাটায় ৪৪১, পলাশবাড়িতে ২১, সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৩০৩ জন। অপরদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নতুন করে আরও ৯৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৮০ জন রয়েছে । এ পর্যন্ত আকান্ত সন্দেহে স্যাম্পল কালেকশন করা হয় মোট ২৫৪ টি । পরীক্ষার পর ফলাফল পাওয়া যায় ১৬৭ টি। জেলা মোট আক্রান্ত ১২ জন।

অপরদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,গাইবান্ধা জেলায় এ পর্যন্ত জি আর চাল বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে ৯৯৫.০০ মেট্রিক টন এরমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৮৮২ মেট্রিক টন,মজুদ রয়েছে ১১৩ মেট্রিক টন। জি আর ক্যাশ বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, বিতরণ করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মজুদব রয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৮ লাখ টাকা তার মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৮ লাখ টাকা,মজুদ নাই।