গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামে তিন দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত স্বরসতী পূজা মন্ডবে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা। এ নিয়ে ওই এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রতি বছর তিন দিন ব্যাপি স্বরসতী পূজার আয়োজন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তিন দিন ব্যাপি স্বরসতী পূজা ও মেলার আয়োজন করা হয়। পূজার দ্বিতীয় দিন রাত ১১ টার দিকে পার্শবর্তী বামটা গ্রামের পরশ নামে একটি ছেলে স্বরসতী পূজায় অংশ নিতে আসলে স্থানীয় যুবক মেহেদী, বনী ও পিয়াসের সাথে তার প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মিমাংশা করে দেয়। পরবর্তীতে এ ঘটনার জের ধরে রাত ৩ টার দিকে মেহেদী, বনী ও পিয়াস পেট্রোল ছুড়ে স্বরসতী পূজা মন্ডবে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ সময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় ওই এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরের দিন সকালে কাশিয়ানী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় একটি পেট্রোলের বোতল উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে স্বরসতী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুর্বন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওই দিন পূজা মন্ডবে যাইনি, তবে আগুন দেওয়ার কথা জানতে পেরেছি এবং আমি কাশিয়ানী থানার ওসি সাহেবকে বিষয়টি অবহিত করেছি এখন থানা পুলিশই দোষি ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
এ ব্যাপারে স্বরসতী পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছর ওই একই জায়গায় তিন দিন ব্যাপি স্বরসতী পূজা করে থাকি। এ বছরই এ রকম ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলীনুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামের স্বরসতী পূজা মন্ডবে আগুন লাগার ব্যাপারে জানতে পেরে নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এলাকাবাসী কাউকে আগুন লাগাতে দেখেনি বা এ ব্যাপারে কেউ থানায় কোন অভিযোগও দেয়নি। তবে পুলিশি অনুসন্ধান চলছে দোষিদের সনাক্তের জন্য।