গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ৯০ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। ভাষা আন্দোলনের ৬৫ বছর পার হলেও এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজও শহীদ মিনার গড়ে উঠেনি। ফলে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে কলাগাছ, কাগজ বা বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ফলে ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
কাশিয়ানী উপজেলায় ১৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলার রামদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিজ সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আন্ধারকোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাফলীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধীরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের স্কুলে কোনও শহীদ মিনার নেই। বাঁশ, ইট বা মাটি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা জানাতে হয়।
উপজেলার পিংগলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা বলেন, আলাদা কোন বরাদ্দ না থাকায় স্কুলে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়নি। ফলে আমরা ও শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছি না। যার কারণে স্কুলে শহীদ মিনার তৈরি করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে শ্রেণি কক্ষে আলাদা ভাবে এ বিষয়ে পাঠদান করা প্রয়োজন।
কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হক শাহ উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, স্কুলে শহীদ মিনার থাকলে শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের সম্পর্কে আরও বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারতো। ছোটবেলা বেলা থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাষা চর্চা শুরু হতো।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রত্যেকটি স্কুলে শহীদ মিনার থাকা প্রয়োজন। তবে স্কুল গুলোতে জায়গা বা উদ্যোগের সংকট থাকায় শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। সব স্কুলে শহীদ মিনার তৈরির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।