কেশবপুর-মণিরামপুর সড়ক পানির নীচে : যানবাহন বন্ধ

প্রকাশঃ ২০১৭-১০-২৪ - ২৩:৫৬

কেশবপুর : কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর-কলাগাছি সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার ৩ মাস ধরে পানির নিচে রয়েছে। সড়কের মাদারডাঙ্গা ব্রিজের দু’পাশে গর্ত সৃষ্টিসহ পানি জমে থাকায় ভারী যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে এলাকার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, সড়কের দু’পাশে গরালিয়া বিল। গরালিয়া বিলের ভেতরে খালের পানি বড়েঙ্গা স্লুইসগেট দিয়ে প্রবাহিত হয়। স্লুইসগেটের উজানসহ গরালিয়া বিলের খালটি পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বাঁধাগ্রস্থ হয়ে ভয়াভহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত জুলাই মাসের ২০ তারিখ থেকে অতিবৃষ্টি ও হরিহর নদের উজানের পানিতে কেশবপুরে ভয়াভহ বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যার সময় ওই ব্রিজটির দু’পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উপর উঠে আসে বন্যার পানি। মাগুরাডাঙ্গা ঈদগাহ থেকে বাঁকাবর্শী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার গত ৩ মাস যাবৎ তলিয়ে ছিল। সড়কের উপর থেকে পানি নেমে গেলেও গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে ব্রিজের দুপাশের গর্তে ইট বালু ভরাট করে যানবাহন চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিসহ হরিহর নদের উজানের পানিতে সড়কটি আবারও তলিয়ে গেছে। যে কারণে এলাকাবাসীসহ ব্যবসায়ীরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে। পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম মুকুল জানান, ব্রিজটির দু’পাশে গত ৩ মাসে দু’দফা পানি উঠে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ইউনিয়নবাসী কেশবপুর সদরে যাতায়াত করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সায়েদুর রহমান বলেন, ব্রিজটির পাশের বিল গরালিয়ার খালটি পলিতে ভরাট হওয়ার পাশাপাশি কচুড়িপনায় ভর্তি থাকায় পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। বড়েঙ্গা স্লুইসগেটের মুখের পলি অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কচুড়িপনার কারণে গরালিয়ার বিলের খালদিয়ে পানি নামতে দেরি হচ্ছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকদের দাবী, দ্রুত সময়ের মধ্যে কেশবপুর-কলাগাছীর জলাবদ্ধ সমড়কের নিচু অংশে মাটি ভরাট করে উচু সড়ক তৈরী করতে পারলে পরবর্তীতে এমন দুর্ভোগে পড়তে হবে না। অন্যথায় সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো নির্ধারণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করতে হবে। এ কাজগুলি দ্রুততার সাথে করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।