কোটালীপাড়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে ক্লাশ করছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-০৫ - ১৫:৩৮

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের ১০৯ নং কালারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৫ বছরের পুরানো ভবনে ও ১৫ বছরের পুরানো ভাঙ্গাচুরা টিনসেড ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করছেন শিক্ষক ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। ওই এলাকার ১২২জন ছেলে মেয়ে বর্তমানে স্কুলটিতে লেখাপড়া করছেন। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন ৪ জন। বিদ্যালয়টি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকায়। অনেক কর্মকর্তাই বিভিন্ন সময় স্কুল ভবন নির্মানের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।
তামিম খান, শাহিন খান, রিফাত খান, ফুলতুশি খানম, তাসলিমা খানম, লিনা খানম, সুমাইয়া খানম, হাফসা খানমসহ সকল ছাত্র-ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এই পুরাতন ভবনে ক্লাশ করতে আমাদের ভয় লাগে, একটি নতুন ভবন তৈরি হলে আমরা আনন্দেও সাথে লেখাপড়া করতে পারতাম।
ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে, টিনসেড ঘরটিও নড়বড়ে, যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাশ করাতে হয়। মাঝে মধ্যে গাছ তলায়ও ক্লাশ করাই কথাগুলি আবেগের সাথে বলছিলেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সামচুদ্দিন খান। তিনি আরো জানান, অচিরেই বিদ্যালয়টির অবকাঠামো মুলক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এ বিষয়ে যোগযোগ করা হলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন খান বলেন, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। দীর্ঘ দিন যাবত ভবনটির বড় বড় ইট সুরকি ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। বার বার তাগিদ দেয়া সত্বেও এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। অতিসত্বর পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন করা একান্ত প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বার বার যোগাযোগ করার করার চেষ্টা করেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথেযোগাযোগ করা সম্ভব হয়নী।