কোটালীপাড়ায় সার ডিলারদের অনিয়ম : চড়া মূল্যে সার বিক্রি

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-১৭ - ১৫:৩৭

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সার ডিলারদের অনিয়ম চড়া মূল্যে সার বিক্রি করছে যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ কৃষক।

উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ইউরিয়া সার ১৬ টাকার পরিবর্তে কেজি প্রতি ১৯/২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এমনি ভাবে প্রতিটি সারের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করছেন সার ডিলাররা।

উপজেলার রামশীল ইউনিয়নে রামশীল জহরেরকান্দি সড়কে অবস্থিত সার দোকানদার সজল রাজিব হরির দোকানে গিয়ে দেখা যায় তমাল বাড়ৈর নামে কৃষি অফিস কর্তৃক সারের লাইসেন্স যাহা ২০১১ ইং সালের। দেখা যায় ওই লাইসেন্সটি আগৈলঝাড়ার বাট্রা বাজার সংলগ্ন রামশীল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের। কিন্তু জহরের কান্দি বাজারে এবং বাট্রা বাজার সংলগ্ন ১নং ওয়ার্ডে তমাল বাড়ৈ সারের ব্যবসা করে আসছে।

জহরের কান্দি এলাকার একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, তমাল বাড়ৈ একই কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে জহরের কান্দির সজল রাজিব হরিকে দিয়ে এই অবৈধ সারের ব্যবসা করে আসছে। সরকার নির্ধারিত ইউরিয়া সারের মূল্য ১৬ টাকার পরিবর্তে ২০/২২ টাকা দরে বিক্রি করছে। এছাড়াও উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নে মোল্যা বাজার ৮নং ওয়ার্ডের ডিলার কালিপদ বিশ্বাস, ৭নং ওয়ার্ডে ও একটি দোকান করেন। দেখা গেছে মোল্লা বাজার ৮নং ওয়ার্ডে ১টি দোকান ও রাজিন্দ্রারপাড় ৭নং ওয়ার্ডে আরেকটি দোকান রয়েছে তার। তিনি মোল্লা বাজারে সকালে ঘন্টা খানিক সার বিক্রি করার পর ৭নং ওয়ার্ডের দোকানটি করেন। এতে ৮নং ওয়ার্ডের কৃষকদের ভোগান্তি এখন চরমে।

ওই এলাকার মালেক মোল্লা, রেজাউল মোল্লা, গফুর মোল্লা, সন্তোষ বিশ্বাস, কবির তালুকদারসহ একাধিক কৃষক অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানায়, কালিপদর দোকান বন্ধ দেখে ভাঙ্গারহাট-রাধাগঞ্জ-কোটালীপাড়া থেকে তাদের সার সংগ্রহ করতে হয়। তারা আরও জানায় ১৮/২০ টাকা দরে ইউরিয়া সার বিক্রি করে আসছে কালিপদ বিশ্বাস।

উপজেলার সকল ইউনিয়নের সাব ডিলাররা অভিযোগ করে বলেন, মূল ডিলাররা নির্ধারিত সরকারি মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে আমাদেরকে সার সরাবরাহ করেন। যার কারনে আমরাও কৃষকদের কাছে অধিক মূল্যে সার বিক্রি করি।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সড়ক গুলির আশেপাশে সরকারি লাইসেন্স বিহীন অনেক সার ও কীটনাশকের দোকান দেখা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রথিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি অফিসের বাহিরে থাকায় সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে জানান, তমাল বাড়ৈর লাইসেন্সটির বিষয়ে আমারও সন্দেহ রয়েছে। তিনি আরও জানান উপজেলার ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক সাব ডিলারদের স্ব-স্ব ওয়ার্ডে দোকান করতে হবে। অবৈধ সার ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে আইননুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।