খুবি ইস্যুতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশঃ ২০২১-০১-২৫ - ২০:৩০

মো. শহিদুল হাসান: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ ও শিক্ষকদের বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশ প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে সারাদেশে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ২৭ জানুয়ারি প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ২৮ জানুয়ারি একই দাবিতে সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। ওই দাবিগুলো হলো আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ এবং শিক্ষকদের বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশ প্রত্যাহার করা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত বন্ধ করা।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী আল কাদেরী জয়। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যে অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে, সেই অগণতান্ত্রিক চর্চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্বৈরাচারী রূপ দিতে সাহায্য করেছে। এতে কোনো ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দূরের কথা, শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যও দিতে তাঁরা ভুলে গেছেন।
আল কাদেরী জয় বলেন, ২০২০ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির হার কমানো, আবাসনসংকট নিরসন, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং শিক্ষার্থীবিষয়ক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তকরণ ও অবহিতকরণ এই ৫ দফা দাবি জানান।
ওই দাবি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর আশানুরূপ কোনো ফল না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করায় এক শিক্ষককে বরখাস্ত ও আরও দুই শিক্ষককে অপসারণ করা হয়। সেই সাথে আন্দোলনে দুইজন শিক্ষকের পথরোধ করা ও অসদাচরণের অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করা হয়। তাঁরা অবিলম্বে দুই ছাত্র ও তিন শিক্ষকের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সঞ্জীব মণ্ডল প্রমুখ।