খুমেক হাসপাতালে ২ ঘন্টায় মিলবে করোনা রিপোর্ট!

প্রকাশঃ ২০২১-০৪-২৭ - ১৮:২৩

কামরুল হোসেন মনি : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ টাকা খরচে স্বল্প সময়ে করোনার র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম চলছে। যার মাধ্যমে নমুনা দেওয়ার মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা ফলাফল (রিপোর্ট) পাওয়া যাবে। এর ফলে টেস্টের জন্য মানুষের দীর্ঘলাইনে দাড়াতে হচ্ছে না। গত ৫ জানুয়ারি এই পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৭৯৮ জন এই এন্টিজেন এর মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় ১৬০ জনের। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই টেস্টের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি পজিটিভ- নেগেটিভ যাই হোক না কেন, রোগীকে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ও করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষার সমান ফি ১০০ টাকাই নেওয়া হবে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ক্ষেত্রে। খুমেক হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য নমুনা নেওয়া হয়। নমুনা নেওয়ার ২ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয়। পাশাপাশি হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবেও নমুনা পরীক্ষা চলবে। এই টেস্টের মাধ্যমে ‘হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তি কমবে এখন, চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হবার হার কমে যাবে।’ আরএমও বলেন, ফ্লু কর্ণারে করোনা ইউনিটে শ্যাম্পল কালেক্টরের টিম প্রধান ডা: মো: নিয়াজ নওশের। এর নেতৃত্বে আরও ৬ জন প্যাথলজিস্ট করোনার টেস্টের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফ্লু কর্ণারে করোনা ইউনিটে শ্যাম্পল কালেক্টরের টিম প্রধান ডা: মো: নিয়াজ নওশের বলেন, গত ২০২১ সালের গত ৫ জানুয়ারি থেকে করোনার র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করে। গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৯৩ জন ব্যক্তি এন্টিজেন পরীক্ষা করান। এর মধ্যে করোনায় পজিটিভ সণাক্ত করা হয় ১৬০ জন করোনা পজিটিভ ও ৬৩৩ জন নেগিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে কেবল আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। অথচ পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য র‌্যাপিড টেস্টের জন্য বারবার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিও তাদের সভায় পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি টেস্ট কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেয়। গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন সম্পর্কিত নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।