খুমেক হাসপাতাল : করোনা সাসপেকডেট আইসোলেশনে মুখপাত্র সেই ডাক্তারকে অপসারণ

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-০৪ - ১৮:৫৫

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ফোকাল পার্সন ও মুখপাত্র জুনিয়ার কনসালটেন্ট ( মেডিসিন) ডা: শৈলান্দ্রনাথ বিশ্বাস তার এই দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তার জায়গায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: মিজানুর রহমানকে করোনা আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ফোকাল পার্সন ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার হাসপাতালের পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মুন্সী মোহাম্মদ রেজা সেকেন্দার বুধবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, জুনিয়ার কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা: শৈলান্দ্রনাথ বিশ্বাসক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ফোকাল পার্সন ও মুখপাত্র দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: মিজানুর রহমান ওই ওয়ার্ডে মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: মিজানুর রহমান জানান, গতকাল তিনি দায়িত্ব বুঝে নেবেন। আজ (বৃহস্প্রতিবার) থেকে ওই ওয়ার্ডে আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ফোকাল পার্সন ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
হাসপাতাল সূত্র মতে, গত ২৮ মে বিভিন্ন সময়ে ওই হাসপাতালের করোনা সাসপেকডেট আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ছিলেন একই পরিবারের মো: আসলাম, স্ত্রী হালিমা এবং ১১ বছরের সন্তান সান। পরের দিন ২৯ মে তারা করোনা টেস্টের জন্য নমুনা প্রদান করেন। কিন্তু তাদের করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসার আগেই ওয়ার্ডের ফোকাল পার্সন ও মুখপাত্র জুনিয়ার কনসালটেন্ট ( মেডিসিন) ডা: শৈলান্দ্রনাথ বিশ্বাস ফোনে তাদের করোনা নেই বলে নিশ্চিত করেন। একই সাথে তাদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে পাঠানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। তার কথার মতো শিশু পুত্র সান শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে ১৩-১৪ ওয়ার্ডে ও মা হালিমাকে মেডিসিন বিভাগে ৫-৬ ইউনিটে ভর্তি দেখানো হয়। ওই দিন তারা হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়ে খুলনা থেকে পাবনা উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরের দিন জানতে পারেন তারা সবাই করোনা পজিটিভ। এ ঘটনার জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতালের শিশু বিভাগ ও মেডিসিন বিভাগে দায়িত্বরত নার্স, চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এছাড়া তারা ওই দিনের ঘটনার পর থেকে করোনায় আতংকে ছিলেন। বিষয়টি প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বেকায়দায় পড়েন। সর্বশেষ এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জুনিয়ার কনসালটেন্ট ( মেডিসিন) ডা: শৈলান্দ্রনাথ বিশ্বাস ওখান থেকে অপসারণ করেন।