খুলনার দাকোপে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে দূর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-০১ - ২১:২১

কানাই মন্ডল : খুলনার দাকোপ উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সহকর্মীদের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের উপর চাপ প্রয়োগ করে লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। তবে দায় স্বীকার করছেন না সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা। হয়রানি ও বিভাগীয় শাস্তির ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না শিক্ষকরা। ঘটনার তদন্ত পূর্বক দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী শিক্ষকদের।

জানা গেছে, দেশের প্রতিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যথাসময়ে হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নির্দেশ দেয়া হয় গত বছর। সে নির্দেশ মোতাবেক ২০১৯ সালের স্লিপের টাকায় সারাদেশে প্রতিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করার কাজ শুরু হয়। সে অনুযায়ী দাকোপ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও ২০১৯ সাল থেকে হাজিরা মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার ১২০ টি স্কুলের মধ্যে ইতমধ্যে ১০৫টি স্কুলে এ মেশিন প্রেরণ করা হয়েছে। কিছু মেশিন স্থাপন করা হয়েছে, কিছু মেশিন এখনও স্থাপন করা হয়নি আবার স্থাপনের মাত্র কিছু দিনের মধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে অনেকগুলি। এ মেশিন স্থাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষা অদিপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা মোতাবেক স্পেসিফিকেশন ও পুশবাটন সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও নিন্মমানের মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আবার প্রতিটি স্কুলকে মেশিন কিনতে সে বাবদ ২৫হাজার টাকা করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে উপজেলার চারজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মৃন্ময় মন্ডল, এনামুল হক, জাহাঙ্গীর আলম ও মো: মনিরুজ্জামান নিজেরাই প্রধান শিক্ষকদের ফোন করে যশোরের নওয়াপাড়ার স্থানীয় ফোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি কোম্পানীর মেশিন উচ্চমূল্যে ক্রয়ে বাধ্য করেছেন। অন্য কোম্পানী থেকে সঠিক মানসম্পন্ন মেশিন ৭/৮হাজার টাকা কমে ১৫/১৬হাজার টাকায় সরবরাহ করতে চাইলেও শিক্ষা কর্মকর্তারা সেটি প্রধান শিক্ষকদের নিতে দেননি। অনেক প্রধান শিক্ষক কর্মকর্তার কাছে ধর্না দিয়ে অন্য কোম্পানীর কমদামের মানসম্পন্ন মেশিন ক্রয়ের মৌখিক অনুমোদন পায়নি। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে বেশকিছু স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, বেশীরভাগ স্কুলেই অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয় নির্দেশিত স্পেসিফিকেশন ও পুশবাটন সম্পন্ন মেশিনের কথা বলা হলেও সরবরাহকৃত মেশিনে তা নেই। স্কুলগুলোর মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাত্র ২০ গজ দূরে চালনা এনসি ব্লুবার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিন্মমানের ইনোভেস ব্রান্ডের হাজিরা মেশিন একটি। এখানে দেখা গেছে হাজিরা মেশিনটিতে কোন পুশ বাটন নেই এবং অকেজো হয়ে আছে। একই অবস্থা উপজেলার অনেক স্কুলে। আবার অনেক স্কুলে মেশিন দেয়া হলেও তা স্থাপন করা হয়নি ও চালুও করা যাচ্ছে না। সরবরাহকৃত কোম্পানী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। অন্যদিকে, কর্মকর্তারা কয়েক লক্ষ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছেন। অনেক স্কুলের শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেশিনগুলি নিম্নমানের হওয়ায় ঠিকমত কাজ করছে না। আবার মেশিন সরবরাহ করেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি কোম্পানী। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এ মেশিন ক্রয়ে খুব সাবধানে মৌখিক নির্দেশনায় ও ইশারায় যে ব্যাপক পরিমান দূর্নীতি হয়েছে তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, সরকারী নির্দেশ পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম সকল প্রধান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সভায় একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, স্কুলের হাজিরা মেশিন স্ব স্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষক ক্রয় করবেন। সেখানে শিক্ষা অফিসারের কোনো হস্তক্ষেপ ও দায়ভার থাকবে না। এরপর কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তাদের মৌখিক নির্দেশে স্কুলে স্কুলে গিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ার স্থানীয় ফোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি কোম্পানীর প্রতিনিধিরা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন লাগিয়ে দিয়ে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে মেশিন পেয়েছেন এমন একটি প্রাপ্তি স্বীকার নিয়ে চলে যায়। শিক্ষকরা টাকা কাকে দেবে এবং কত টাকা দিতে হবে এ প্রশ্ন করলে বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলেন, প্রতিটি মেশিনের দাম ২৫ হাজার টাকা এবং এ টাকার জন্য আপনাদের চিন্তা করার দরকার নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিস আমাদের টাকা পরিশোধ করবেন। এসব শোনার পর কয়েকজন প্রধান শিক্ষক পার্শবর্তী উপজেলার স্কুল এবং বিভিন্ন ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বিক্রয় কেন্দ্রে মেশিনের দাম যাচাই করেন। তারা দেখেন সেখানে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা হলে একটি স্ট্যান্ডার্ড হাজিরা মেশিন ক্রয় করা যায়। এটা জানার পর কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক উক্ত কোম্পানীর মেশিন ক্রয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তারপরও উপজেলার চারটি ক্লাসটারের চারজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফোন করে প্রধান শিক্ষকদের যশোরের নওয়াপাড়ার স্থানীয় ফোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামের নির্দিষ্ট কোম্পানীর কাছ থেকে উচ্চ মূল্যে ২৫হাজার টাকায় নিন্মমানের ইনোভেস ব্রান্ডের মেশিন ক্রয়ে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, উপজেলার ১২০টি স্কুলে মেশিন ক্রয় করা হবে অথচ এর জন্য কোনো দরপত্র যাচাই করার সুযোগ আমাদের ছিল না। কোম্পানীর সাথে গোপনে চুক্তি করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। এরপর তারা যশোরের নওয়াপাড়ার স্থানীয় ফোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি কোম্পানীর নিন্মমানের ইনোভেস ব্রান্ডের মেশিন কিনতে ব্যাধ করেছেন। স্কুলের স্লিপের টাকা থেকে হাজিরা মেশিনের টাকা কেটে নিয়েছে স্ব স্ব ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এইউইও)। উপজেলার কয়েকজন প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, মেশিন ক্রয়ের টাকা প্রতিটি ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা-এইউইওরা শিক্ষা অফিসা অফিসার মো: অহিদুল ইসলামের নাম করে আদায় করেছেন। এখনও অনেকে মেশিন ক্রয়ের রশিদ পাননি। কিছু কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষা অফিসার বলেছিলেন আমাদের ইচ্ছামত কোম্পনী থেকে আমরা হাজিরা মেশিন ক্রয় করতে পারব। কিন্তু পরে আমরা আমাদের পছন্দমত কোম্পানীর মেশিন ক্রয় করতে পারিনি। এইউইওদের পছন্দের কোম্পানীর মেশিন নিতে বাধ্য হয়েছি। শিক্ষকরা আরও জানান, হয়রানির ভয়ে শিক্ষা অফিসার এবং সহকারী শিক্ষা অফিসারদের এ দূর্নীতির বিরুদ্ধে তারা মুখ খুলতে পারছেন না।

উপজেলার কালিনগর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাঃ বিনয় কৃষ্ণ বাছাড় বলেন, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ের জন্য তার স্কুলের ২৫ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মৃন্ময় মন্ডল নিয়েছেন। কিন্তু তারা যে মেশিন দিয়েছেন তা নিন্মমানের ও অধিদপ্তরের নির্দেশনানুযায়ী নয়। শ্রীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রসেনজিত রায় বলেন, তার বিদ্যালয়ের মেশিন ক্রয়ের জন্য তিনি ২৫ হাজার টাকার চেকে স্বাক্ষর করে প্রধান শিক্ষককে দিয়েছেন। মেশিনের দাম যাচাই বাছাই করার ুসযোগ হয়নি। শিক্ষা কর্মকর্তাদের কারনে কমদামের নিন্মমানের মেশিন উচ্চমূল্যে কিনতে ব্যাধ হয়েছেন শিক্ষকরা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সেখানে কিভাবে এসব শিক্ষা কর্মকর্তারা দূর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তা বোধগম্য নয়। তিনি এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত পূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

যশোরের নওয়াপাড়ার স্থানীয় ফোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামের যে কোম্পানী দাকোপে ডিজিটাল মেশিন বিক্রয় করেছে তার বিক্রয় প্রতিনিধি মো: শামীম নুর ওরফে শামনুরের সাথে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে উক্ত বিক্রয় প্রতিনিধি মনে করেন ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি একজন প্রধান শিক্ষক। তাই তিনি বলেন, স্যার আপনার এলাকায় ১০৫টি স্কুলের মেশিন স্থাপন করেছি। আপনার স্কুলে মেশিন যদি লাগাতে চান তাহলে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন। দামের কথা জিজ্ঞাসা করলে বিক্রয় প্রতিনিধি প্রথমে বলেন, ১৯ হাজার টাকা। এরপর ফোনের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর উক্ত বিক্রয় প্রতিনিধি ফোন করে জানান, মেশিনের দামটা তখন ভূল বলেছিলাম। মেশিনের দাম নেয়া হয়েছে ২২ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ২৫হাজার টাকা।

উপজেলার একাধিক স্কুলের শিক্ষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, উপজেলার চারজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মৃন্ময় মন্ডল, এনামুল হক, জাহাঙ্গীর আলম ও মো: মনিরুজ্জামান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: অহিদুল ইসলামের নাম করে ক্লাস্টার অনুযায়ী হাজিরা মেশিনের টাকা সংগ্রহ করেছেন। তারা প্রধান শিক্ষকদেরকে ২৫হাজার টাকায় ওই নিন্মমানের বিশেষ কোম্পানীর মেশিন ক্রয়েও বাধ্য করেছেন। কোন কোন প্রধান শিক্ষক অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাদেরকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের হুমকিও দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা(এইউইও) মনিরুজ্জামান বলেন, স্কুলের হাজিরা মেশিন ক্রয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে আমার ক্লাসটারে সব স্কুলেই হাজিরা মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মৃন্ময় মন্ডল বলেন, কোম্পানীর প্রতিনিধিরা আমাদের কথা বলে বিক্রি করেছে। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ২৫হাজার টাকা করে আদায় করার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। অন্য দুইজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান ও এনামুল হককে ফোনে কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, এনামুল হকের দূর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তাকে ফরিদপুরে বদলী করা হয়েছে। তার কাছে অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা অনেকেই আগে থেকেই নেওয়া পাবেন বলে জানান।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ অহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রধান শিক্ষকদের সাথে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ের রেজুলেশন দেখিয়ে বলেন, প্রধান শিক্ষকরা তাদের ইচ্ছামত কোম্পানীর হাজিরা মেশিন কিনতে পারবেন এমনটা মিটিং-এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাজিরা মেশিন ক্রয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যমোরের নওয়াপাড়ার ফোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি স্থানীয় কোম্পানীল সাথে গোপন যোগসাজসের বিষয়ে প্রশ্নকরা হলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা তার কাছে কমদামে অন্য কোম্পানীর মেশিন কিনতে চাইলেও অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। তবে তার অধীনস্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রধান শিক্ষকদের ২৫হাজার টাকায় মেশিন কিনতে বাধ্য করার বিষয়ে কেউ জড়িত থাকলে তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল ওয়াদুদ জানান, স্কুলের এতগুলি হাজিরা মেশিন ক্রয় করা হয়েছে অথচ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানবেন না এটা কখনও হতে পারে না। আমি শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে বসে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা দেখবো বলে আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: সিরাজুদ্দোহা জানান, হাজিরা মেশিন কেনার দায়িত্ব স্ব স্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার ও কোন দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।