গোপালগঞ্জে হিন্দু পরিবারের জমি দখল করল ইউপি সদস্য

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-১৫ - ১৫:২৩

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গোপালগঞ্জে এবার হিন্দু পরিবারের জমি জোর করে চাষ দিয়ে দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালী সাবেক ইউপি মেম্বর দেলোয়ার সরদার। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের কংশুর গ্রামে।

ওই গ্রামের দেবদাস মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, আমার দাদা কার্ত্তিক মজুমদার কংশুর মৌজার ১০০ ও ২৮৬ নং দাগের ৫ বিঘা জমির এসএ, আরএস ও সিএস পর্চায় মালিক। আমার পিতা হারান মজুমদার গং দীর্ঘ দিন ধরে এ জমি ভোগ দখল করে আসছে। আমাদের এ জমির ধান জোর করে সাবেক ইউপি মেম্বর দেলোয়ার সরদার কেটে নিয়ে যায়। বাধা দিলে আমাদের মহিলাসহ পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে। পরে জমিতে এসে এ জমি তার বলে দাবি করেন। ঘটনায় আমরা ন্যায় বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করি।

তিনি আরো বলেন, হাই কোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ১৪ ডিসেম্বর এ জমিতে ৬ মাস স্থিতি অবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়। এ আদেশ অমান্য করে দেলোয়ার সরদার জোর কওে জমিতে চাষ দিয়েছে। এছাড়া এর আগে আমাদের ক্ষেতের রোপিত সবজি উৎপাটন করে সেখানে দেলোয়ার কলাই চাষ করেছে। দেলোয়ার একজন ভূমি দস্যু। সে জোর করে আমাদের জমি ভোগ দখল করতে চাইছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

কংশুর গ্রামের মর্জিনা বেগম (৪০) বলেন, আমরা দেখে আসছি কার্ত্তিক মজুমদারের ছেলে হারান মজুমদার গং এ জমি ভোগ দখল করছে। হঠাৎ করে দেলোয়ার মেম্বার এ জমি তার দাবি কওে ধান কেটে নিয়েছে। এখন জোর করে জমিতে চাষ দিয়ে নিজের দখলে নিতে চাইছে।

করপাড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহাবুব রহমান সরদার (৬৫) বলেন, এ জমি হিন্দু পরিবারের। পরিবারটি বংশ পরমপরা এ জমি ভোগ করে আসছে। দেলোয়ার এ জমি তার দাবি করে দখলে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে।

অভিযুক্ত সাবেক ইউপি মেম্বর দেলোয়ার সরদার হিন্দু পরিবারের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার পিতা আব্দুর রহমান সরদার এ জমি খেতেন। আমি এ তথ্য জানতে পেওে গোপালগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিস থেকে ডিসিআর কেটেছি। এখন আমি জমি দখলের চেষ্টা করছি। জমিতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া তিনি ওই জমির ডিসিআর দেখাতে পারেননি।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির এস আই ফরিদুল ইসলাম বলেন, ওই জমিতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেলোয়ার এ জমি জোর করে চাষ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জমি চাষাবাদ বন্ধ করে দেই।