চলে গেলেন যশোরের কবি স্বপন মোহাম্মদ কামাল

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-২৯ - ২১:৪৫

যশোর: অবশেষে চলে গেলেন কবি স্বপন মোহাম্মদ কামাল (৫০)। সোমবার সকালে ঢাকার বাংলাদেশ জাপান ফ্রেন্ডশীফ হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি যশোর শহরের পূর্ব বারান্দী পাড়ার সরদার পাড়া এলাকার শহীদ আব্দুল জব্বার। সোমবার রাতে সরদার জামে মসজিদের সামনে জানাজা শেষে বারান্দীপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ রবিউল আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ইকবার কবির জাহিদ, বীরমুক্তি অশোক বিশ্বাস, শেখ জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিক, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীর লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা পূর্বে বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদ্মনাভ অধিকারী, আজীবন সদস্য ড. শাহনাজ পারভীন, সহ-সভাপতি কাজী রকিবুল ইসলাম, আমির হোসেন মিলন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, সহ-সাধারণ সম্পাদক নূরজাহান আরা নীতি, যশোর ছড়া সংসদের রহমান মুজিব, কামাল মুস্তাফা, শনিবাসরীয় সাহিত্য আসরের মমতাজ উদ্দিন, আরশি গাইন, মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ডা. মোকাররম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গাজী শহিদুল ছাড়াও কবি রেজা মন্ডল, রাশিদা আক্তার লিলি, কবি আনোয়ারুল ইসলাম. কবি জাহিদ আক্কাস, কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম, মুস্তাফিজুর রহমান মুস্তাক, আমার একুশের হারুন অর রশিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন প্রমূখ মরহুমের মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
স্বজনরা জানিয়েছেন, কবি স্বপন মোহাম্মদ কামাল গত ১৬ জানুয়ারি পড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাপসাতালে ভর্তি করা হয়। তখন চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তার শরীরের ডান পাশে এক হাত এবং এক পা অকোজ হয়ে গেছে।
তারপরও কোন অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় বাংলাদেশ জাপান ফ্রেন্ডস হাসপাতালে গত ২২ জানুয়ারি থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সোমবার সকালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বপন মোহাম্মদ কামালের প্রকৃত নাম আবু মোহাম্মদ কামাল। তিনি কৃষি অধিদপ্তরের চাকুরী করতেন। তার একমাত্র ছেলে হামজা কামাল যশোর সরকারি সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান।
কবি পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পিতাসহ দুইজন শহীদ হন।
তাঁর হিমাদ্রী আহত অভিযাত্রী, তিন স্বপ্নের ছায়াসহ একাধিক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
স্বপন মোহাম্মদ কামাল যশোর ইনস্টিটিউট, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ, যশোর ছড়া সংসদ, মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংষ্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়া যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যপাঠের সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক’র দায়িত্ব পালন করতেন।
এদিকে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন- বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. সামসুজ্জামান, সহ-সভাপতি কাজী রকিবুল ইসলাম, আমির হোসেন মিলন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, সহ-সাধারণ সম্পাদক নূরজাহান আরা নীতি, প্রকাশনা সম্পাদক আহমদ রাজু,ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আহাদ আলী লস্কার, নির্বাহী সদস্য শেখ ইমামুল কবির, আহমেদ মাহাবুব ফারুক, রফিকুল পাশা, আবুল হাসান তুহিন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি পদ্মনাভ অধিকারী প্রমূখ।