জলমা তহসিলদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৯-২৮ - ১৭:১৩

তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নির্দেশনা ইউএনও’র

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি (জলমা তহসিল) অফিসের উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই অফিসের আয়া ও তার কলেজ পড়ুয়া কন্যাকে নানা প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আয়া শান্তি মল্লিক লিখিতভাবে জেলাপ্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে ইউএনও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করেন। অভিযোগের পর বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু মোঃ জালাল হোসেনের।
অভিযোগপত্রে ওই অফিসের আয়া সমর মল্লিকের স্ত্রী শান্তি মল্লিক উল্লেখ করেন, উল্লিখিত তহসিল অফিস নির্মাণের জন্য তার শ্বশুর জমি দান করেন। সেই সুবাদে তিনি ওখানে আয়াতে চাকরিরত আছেন। বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি (জলমা তহসিল) অফিসে উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেন বিভিন্ন সময়ে আয়া শান্তি মল্লিক ও তার ১৯ বছর বয়সের কন্যাকে নানা প্রকার প্রলোভনে ভুলিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
উপ-সহকারী নায়েব এর এই কু-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে উক্ত আয়া ও তার কন্যার ওপর রাগান্বিত হয় এবং ওই অফিসে চাকরি করতে দিবে না মর্মে হুমকি দেয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার তারই ধারাবাহিকতায় বেলা আনুমানিক ৩টার সময় পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে আয়া শান্তিকে গলাধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আয়া শান্তি মল্লিক এ প্রতিবেদককে জানান, নায়েব জালাল হোসেন প্রতিদিন অফিসের সময় শেষ হয়ে গেলেও কু-মতলবে উক্ত ভুক্তভোগীকে সন্ধ্যায় পরও অফিসের কাজের নানা অজুহাতে রেখে দেয়। তার কু-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নানা অজুহাত দেখিয়ে আমার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ প্রতিবেদক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান বলেন, উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেন এর বিরুদ্ধে আমার কাছে ভুক্তভোগী উক্ত অফিসের আয়া লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ও কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল তাকে ফাঁসানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।