মো:নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সৎ ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সিকদারকে ফাঁসাতে গভীর ষড়যন্ত্র ও হত্যার পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছে একটু চাটুকার দুষ্টচক্র। এ দুষ্টচক্র এমন কোন কুকর্ম নেই যা করে না এসব কুকর্মে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় একের পর এক সফল জনবান্ধব ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে জানাগেছে।
এলকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সিকদার জানান, একটি কুচক্রী মহলের গভীর ষড়যন্ত্রে ও কতিপয় ইউপি সদস্যদের অবৈধ আবদার না রাখায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হত্যার পরিকল্পনা করে এ দুষ্ট চক্র সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন সুবিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সিকদার।
রবিবার (১৬ আগষ্ট) বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, কতিপয় ইউপি সদস্য অবৈধভাবে সুযোগ সুবিদা গ্রহন করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিদা নিতে চাইলে আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল পাতে। এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিল জালিয়াত প্রতারক অস্রবাজীসহ বহু অপকর্মের হোতা আমির সোহেল মল্লিক। এ চক্রটি ইতিপূর্বেও আমাকে নানা রকম হুমকি দেয়। এমনকি আমাকে হত্যার পরিকল্পনাও করে। এ চক্রের দ্বারা আমার প্রান নাশের সম্ভনা রয়েছে। এ চক্রের একজন ইতিমধ্যে দূর্ণীতি করে হাতেনাতে ধরা খেয়ে সাজা ভোগ করে এবং ইউপি সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার হয়। বর্তমানে চক্রটি আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অসত্য ঘটনা সাজিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে যাহা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার ইউনিয়নে উন্নয়ন ও ভাবমূর্তি নষ্ট করাও অবৈধ কার্যক্রমে সফল হতে এই ষড়যন্ত্রের মূল কারণ। ইউনিয়ন পরিষদের কতিপয় সদস্য ঝালকাঠি-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আমির হোসেন আমুর নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় সিদ্ধান্ত জলাঞ্জলী দিয়ে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এতে সরকারের উন্নয়নের ধারা ব্যহত হচ্ছে। তিনি আরো জানান এ চক্রটি এলাকায় জুয়া, মাদক, চাঁদাবাজিসহ অনৈতিক কর্মকান্ড চালালে আমি তাতে বাঁধা দেই। যে কারণে এ দুষ্টচক্র আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি আরো জানান আমার ইউনিয়ন শান্তি প্রিয় এ এলকায় অশান্তি করার চেষ্টায় লিপ্ত বহু অপকর্মের হোতা আমির সেহেল মল্লিক। এ আমি সোহেল ইতিপুর্বে ১৫৬ টি সিল ও বিভিন্ন দপ্তরের ভুয়া কাগজপত্রসহ ঢাকায় ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়। এই সোহেল মল্লিক এলকার মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে।এ সকল ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান তদন্ত পূর্বক সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান এবং দোষীদের শাস্তি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে আমির সোহেল মল্লিক তার বিরুদ্ধের অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আব্দুল মান্নান সিকদারের সাথে আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বদ্ধী ছাড়া কোন বিরোধ নেই। ইউপি সদস্যরা অনস্থা দিয়েছে শুনেছিএখানে আমার কোন হাত নেই। আমাকে অহেতুক জড়ানো হয়েছে।