ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে এক দিনেই ১২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ও সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন, নলছিটিতে ৩ জন, রাজাপুরে ৫ জন এবং কাঠালিয়ায় ১ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার।
এদিকে ঝালকাঠি জেলাকে হলুদ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা করোনাভাইরাস পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর সভাপতিত্বে সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য বিভাগের মানদন্ড অনুযায়ী (করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতা) ঝালকাঠি জেলা এখন পর্যন্ত হলুদ এলাকায় অবস্থান করছে।
হলুদ এলাকা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবহন ও লঞ্চ চলাচলে নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাঠ-ময়দানে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ থাকবে। অটোরিকশা ও রিকশায় একজনের বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। হোটেল-রেস্তারাঁ খোলা থাকলেও খাবার কিনে প্যাকেটজাত করে নিয়ে যেতে হবে। কোনোক্রমে হোটেলে খাবার পরিবেশন করা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে কেনাকাটা সম্পন্ন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে পারবে না। কিন্ত এ নির্দেশনা মানছে কেউ।
ঝালকাঠি জেলার জনসংখ্যা ৬ লাখ। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৯৩ জন। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩৭ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ২২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই কেবল সংক্রমণ কিছুটা রোধ করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে ঝালকাঠিও লাল এলাকার আওতায় পড়ে যাবে।