ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে শিশুর প্রতি সহিংসতা আসংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। গত দু’সস্পাহে সহিংসতার চারটি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এগুলোর একটি হত্যা, একটি ধর্ষন এবং আপর দুটি চুরির অভিযোগে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে।
অনুসন্ধনে জানাযায়, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় গত দু’সপ্তাহে হত্যা, ধর্ষন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে চার শিশু। এদের মধ্যে একটি মেয়ে এবং তিনটি ছেলে শিশু রয়েছে। ১৪ জুলাই উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুর গ্রামের ৯ বছরের শিশু চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাকিব হাওলাদার এর মরদেহ বাড়ী পাশের একটি মুরগীর খামারের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং ঘার ভাঙ্গা ছিল। একই দিন সাতুরিয়া গ্রামের ৫ম শ্রেনীর এক ছত্রী প্রতিবেশী একচাচার ধর্ষনে ৫ মাসের অন্ত:সত্তার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৬ জুলাই উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের ৯ বছরের শিশু ৩য় শ্রেনীর ছাত্র সগীরকে কুমড়া চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে খালে ফেলে দেয়ার চেষ্ঠা করা হয়। সে বর্তমানে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর আগে গত ৩ জুলাই আরুয়া সোনারগাও গ্রামের ১২ বছরের শিশু রাজু হাওলাদারকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্মম ভাবে নির্যাতন এবং হাতে আগুনের স্যাকা দেয়া হয়। এসব ঘটনায় থানয় মামলা হলেও ৩ জুলাই এর ঘটনায় পুলিশ তিন অভিযুক্তর মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করলেও সে আদালত থেকে জামিনে রয়েছে। এ ছাড়া আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। নির্যাতিত শিশুদের অভিভাবকরা দোষিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, পুলিশ এসব ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যাবস্থা নিয়েছে । প্রতিটা ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। মামলা গুলো তদন্তদিন রয়েছে তবে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যহত আছে বলে জানান তিনি।