মো:নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি : বাঙ্গালীর প্রানের উৎসব বাংলা নববর্ষ ১ পহেলা বৈশাখের দিনটি সারাদেশের ন্যায় ঝালকাঠিতেও এ বছর কেটে গেলো নিরবে-নিভ্রৃতিতে আর প্রানহীন । নভেল করোনার (কোভিড-১৯) ভাইরাসের সংক্রামন এড়াতে সরকারের নির্দেশনা আর সর্বস্তরের সাধারন মানুষের মনে প্রতিমূহূর্তের আতংকের বেড়া ঝালে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ দিনটি কাটিয়েছে ঘরবন্দী হিসাবে। আর এর প্রভাবে প্রতিবছরের ন্যায় এ দিনটি উদযাপনের কেন্দ্রস্থল ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী ‘মুক্ত মঞ্চ’ এলাকাটি ছিল জনমানব শূন্য অস্বাভাবিক নিরব।
একই ভাবে হয়নি কোনো প্রভাতী অনুষ্ঠান, শহর প্রদক্ষিণ করেনি কোন বর্নাঢ্য আনন্দ মুখোর মঙ্গল শোভাযাত্রা। পালিত হয়নি পারা মহল্লার পান্তা-ইলিশ উৎসব। হয়নি বাহারি দেশীয় খাদ্য আর পিঠাপুলির ভোজন।
ঘরমুখী মানুষ ঘরে বসেই প্রিয়জনদের সাথে ফোন কল এবং ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। সকাল থেকেই ঝালকাঠির বিনোদন কেন্দ্রগুলো পুরোটাই ছিলো মানবশুন্য। সবাই যেনো কোন অচীন দেশের অজানার যাত্রী। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে মোবাইল ফোনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছে।
মরণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রামন থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ভাবে দোয়া প্রার্থনা করেন অনেকে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, জেলা প্রসাশক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার ঝালকাঠিবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন এবং সেইসাথে সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সকলকে অনুরোধ করেছে ঘরে থাকতে, বাইরে না বেড়োতে।